Header Ads

সর্বশেষ

বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা

২০০৬ সনের সার্ভে মোতাবেক বাংলাদেশে রয়েছে ১৫০০০ টি সনদকৃত এবং ৫০০০০ টি সনদবিহীন কওমী মাদ্রাসা। এরা চলে জাকাত-দান খয়রাতের টাকা দিয়ে। এই সর্বমোট ৬৫০০০ টি মাদ্রাসায় প্রতিটাতে গড়পড়তায় ১০০ জন ছাত্র থাকলে মোট ছাত্র সংখ্যা ৬৫ লক্ষ। এদেরকে ইসলামী বিধিবিধান পড়ানো হয় উর্দূ এবং আরবী ভাষায়। পাশ করার পর এদের কর্ম দক্ষতা কি ? মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়া, মসজিদের ইমাম হওয়া আর ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করা. এদের ওয়াজের বিষয় বস্তু মোটামুটি বিভিন্ন দলের (আহলে কোরান, আহলে হাদিস, সালাফী , দেওবন্দী, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, জাকের নায়িকী , ইত্যাদি) দোষত্রুটি প্রকাশ করে জনগণকে তাদের বিরুধ্যে উত্তেজিত করা. ইউটিউবে আপনারা দেখতে পারবেন এদের মধ্যে কতো ফের্কা এবং একে অপরকে দোষারোপ করা. নামাজে হাত বুকের উপর নাকি নাভীর উপর বাঁধতে হবে এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক।

আওয়ামী সরকারের মার্ খেয়ে এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা সরকারী সনদপ্রাপ্ত হচ্ছে। এই সনদ নিয়ে তারা কী চাকরী করবে? কোনো কারিগরী দক্ষতা তাদের নাই. আরবী ভাষা জেনে যে আরব দেশে গিয়ে চাকরী করবে সে আশা নাই.শুধু ভাষা জানলেই তো হবে না – কোনো কারিগরী দক্ষতা থাকতে হবে.

কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক সবাই বিজ্ঞান সম্পর্কে মুটামুটি অজ্ঞ। এদের যাদেরকেই আমি জিজ্ঞেস করেছি দিন-রাত্রী কিভাবে হয়, এর কারণ হিসেবে তারা সবাই বলেছে সূর্য্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে। অর্থাৎ জ্ঞান -বিজ্ঞানে তারা কমপক্ষে ৫০০ বছর পিছিয়ে আছে.এরা বলে বিজ্ঞানের আবিষ্কার ক্ষণস্থায়ী,বিজ্ঞানীরা সময়-সময় মত পাল্টায়। কিন্তু কোরান-হাদীসে যা লেখা আছে তা কেয়ামত পর্যন্ত্য সত্য থাকবে।

এদের অজ্ঞানতা থেকে মুক্ত করার উপায় কি ? আমার মনে হয়, সরকারী আইন করে এদের পাঠ্য পুস্তকে কোরান-হাদীসের পাশাপাশি সেকুলার বিজ্ঞান ঢুকিয়ে দিতে হবে.
তাছাড়া সরকারী উদ্যোগে জাতীয় ফতওয়া কমিটি গঠন করা উচিৎ যারা বিভিন্ন মাসলা -মাসায়েল সম্পর্কে ফতওয়া দেবে।এতে করে পরস্পর কাদা-ছুড়াছুড়ি বন্ধ হবে.

No comments