Header Ads

সর্বশেষ

কুরআন ও হাদীসের আলোকে জান্নাতী হুরদের সাথে সহবাস সম্পর্কে জানেন কি?

 


হে মুমিনগণ, আপোনারা কি জানেন জান্নাতী হুরদের মধ্যে কি কি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবে, যা এই পৃথিবীর নারীদের মধ্য নেই?

আসুন না আজ এ বিষয়টি নিয়ে একটু জানা যাক, প্রথমেই বলতে চাই যে, আল্লাহ স্পেশালভাবে হুরদের আপোনাদের জন্য তৈরি করেছেন।

জান্নাতী হুরদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাঁদের কখনো মাসিক বা ঋতুস্রাব হবে না, তার মানে ৩৬৫ দিনর মধ্যে এক দিনও বাদ দিতে হবে না আরকি, ধইরা নেন যে মজাই মজা। তাঁদের আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পৃথিবীর কোনও মানুষ, কোনও জিন ঐ হুরদের গায়ে আজ প্রর্যন্ত টাচ্ও করেনি। বাহ্ ভাবা যায় বলুন!?

হে মুমিনরা শুধু কি তাই, না কখনই না।

আপোনাদের জন্য আরো যে চমক রয়েছে, তাহা শুনিলে তো ক্লান্ত হতে হতে বেহুশ হয়ে পড়িবেন। তবে শুনুন, সেই হুরদের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা থাকবে ভার্জিন, কুমারী এবং ইনট্যাক্ট। দেখছেন মিয়া আপোনাদের জন্য কি জিনিস অপেক্ষা করিতেছে?

কি এসব শুনে মনে হচ্ছে না যে কিসের কাজ-কাম, কিসের দুনিয়া। সবকিছু ফালাইয়া এখনি জান্নাতে গিয়ে হুর দখল করি, তাই না?

ওয়েট মুমিন ওয়েট: এ তো কিছুই বলিনি। আসল কথা শুনলে তো মিয়া এখনই দলে দলে চইলা যাওয়া শুরু করবেন।

তাহলে আসুন না সেই হুরদের সম্পর্কে আরো কিছু জানি। বেহেস্তে আপোনারা পাক্কা মুমিনরা এক একজন ৭০/৭২ জন করে হুর পাবেন । এবং আপোনারা সেখানে হুরগণের সাথে যতই সঙ্গম করবেন না কেন, কখনো দুর্বল হবেন না । বরং যতই সঙ্গম করবেন ততই আপোনাদের শরীরে কান্তি ফু্টে উঠবে, রূপ বাড়বে, শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর দুনিয়ার সঙ্গমের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে ।

কি সুবাহান আল্লাহ কি বাসায় গিয়ে বলবেন?

আচ্ছা আরো শোনেন: জান্নাতি হুররা কিন্তু দেখতে ইয়াকুত ও মারজানের মত হবে । তাদের চেহারার উজ্জ্বলতা দৃষ্টি শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা । জান্নাতে প্রত্যেক মুমিন-ই, মানে আপোনারা হবেন হযরত আদম (আ.) এর মত লম্বা-চওড়া, মানে ব্যাপার স্যাপারই আলাদা, তাইনা? ছাড়ারা আপোনারা কখনও বৃদ্ধ হবেন না । সোজাকথা ২৫ থেকে ৩০শেই থাকিবেন আরকি।

আর জান্নাতী হুরদেরকে আল্লাহ তায়ালা মিশক, জাফরান দ্বারা পয়দা করেছেন। তাদের সৈান্দর্য্যের দরুণ হাড্ডির সিরা-উপসিরা পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হবে। কিন্তু পেটের ভেতরের নারীভুরি দেখা যাবে কিনা, এমনটি আমি এখনো কোথাও পাই নি। তবে সেগুলো দেখা গেলে কিন্তু খুবই বাজে একটা অবস্থা হবে, তাই না?। কারণ তাদের পেটের ভেতরের জিনিসপত্র দেখলে কি আপোনাদের তাদের সাথে সঙ্গম করতে ইচ্ছে করবে বলেন?

সুতরাং মুহাম্মদকে বলে দেওয়া ভালো যে এগুলো যাতে না দেখা যায়, মানে ঢাকার একটা ব্যাবস্থা করা। কি ঠিক বলছি না?

ওহ আচ্ছা শেষ হয় নি, বেহেশ্তী পুরুষের জন্য কিন্তু আয়না-টায়নার কোনও দরকার হবে না। কারণ হুরের সর্ব শরীর, বুক, মুখ ও চেহারার নুরূনী আলোতেই আপোনাদের আয়নার কাজ হবে । তবে বুবের মাঝখানে নাকি কোনও এক সাইডে এই বিষয়টি এখনো জানতে পারি নি, তবে আমার উপর বিশ্বাস রাখুন, এই বিষয়টি আমি জানা মাত্রই আপোনাদের জানাবো।

অতএব আজকে এর চাইতে আর কিছু লিখতে পারবো না, কারণ আমি অলরেডি আউট অব কন্ট্রোল। এগুলা শুইনা থাকা যায় বলেন?

ওহ আচ্ছা একটা কথা বলে রাখা ভালো,আমি কিন্তু এখানে কোনও কিছুই বানিয়ে বানিয়ে লিখিনি। যাহা কিছুই লিখেছি সবকিছুই কোরান বা হাদিস এ বয়েছে, বিশ্বাস না হলে মিলিয়ে দেখুন। আর হুর নিয়ে বশেষ ওয়াজের কয়েকটি লিংকও নিচে দেওয়া আছে, দেখে প্রস্তুত হন।

আমীন।

No comments