Header Ads

সর্বশেষ

রফিকুল হক নান্টু এই ছবি নিয়ে কী বলেছেন দেখুন

 


এই দুইটা ছবির একটা ছবি দিয়ে বলছিলাম এইটা ফেইক মুক্তিযোদ্ধার ছবি। আমার সেই পোষ্টে কেউ কেউ কমেন্ট করেছে এটা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক নান্টুর ছবি। আমি এইটা ফেইক বলে উনারে অপমান করছি।
ভাই নিজের সন্মান নিজে রাখতে না পারলে আমার কী করার আছে?
রফিকুল হক নান্টু নিজেই বলছেন যে, তিনি ২১ দিন ট্রেনিং পাইছেন। তিনটা জিনিস করার ১/ থ্রি নট থ্রি রাইফেল চালানো? ২/ বেয়নেট চার্জ করা ৩/ গ্রেনেড ছোড়া। থ্রি নট থ্রির ট্রেনিং দিয়া তারে একে ৪৭ হাতে ধরায়ে দিছে? আর অস্ত্রটা যে একে ৪৭ সেইটাও রফিকুল হক নান্টু জানেননা। তা আমরা রফিকুল হক নান্টুর নিজের সাক্ষ্য থেকেই দেখবো পরে।
তিনি দাবী করছেন যে তিনি ঢাকার একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। এইবার আমার প্রশ্ন ঢাকার গেরিলারা একে ৪৭ ইউজ করতো? করতো না। ইন ফ্যাক্ট ঢাকার গেরিলাদের যুদ্ধাস্ত্র ছিলো সামান্য। গ্রেনেড, পিস্তল আর বেয়নেট।
তিনি যে দাবী করছেন যে তিনি দুই নাম্বার সেক্টরে যুদ্ধ করছেন। সেই দুই নাম্বার সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের একটা বিখ্যাত অপারশনের অস্ত্রের বর্ণনা শুনুন।।
"গেরিলাদের দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১২টি গাঢ় কালচে বাদামি রং-এর ‘পাইন আপেল টাইপ’ হ্যান্ড গ্রেনেড আর একটি করে বেয়নেট। ১৬০ রূপি (তৎকালীন পাকিস্তানী মুদ্রা) নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা সবাই ঢাকায় পৌঁছেছিলেন ৩ জুন।"
রফিকুল হক নান্টু এই ছবি নিয়ে কী বলেছেন দেখুন,
“আজিমপুরে পিলখানার কাছেই ছিল সহযোদ্ধা লস্করদের বাড়ি। চায়না ব্লিডিং বললে সবাই এক নামে চিনত। ওটা ছিল ঢাকায় গেরিলাদের একটা অবজারবেশন পোস্ট (ওপি)। বাড়ির ছাদে স্ট্যান্ডে ফিট করা থাকত মেশিনগান। আমরাও মাঝেমধ্যে যেতাম বাড়িটিতে। একদিন চাইনিজ স্টেনগান নিয়ে বাড়ির ছাদে উঠেছি। তখনই সহযোদ্ধা ইকবাল আহমেদ সুফি আমার দুটি ছবি তুলে। একটি স্ট্যান্ডে ফিট করা মেশিনগানে পজিশনরত এবং অন্যটি স্টেনগান হাতে দাঁড়ানো। ওই ছবিগুলোর দিকে তাকালেই একাত্তরটা মনে পড়ে যায়।"
তার হাতে যেটা সেটা তো চাইনিজ স্টেনগান নয়, সেটা একে ৪৭। উনি তো অস্ত্রই চেনেন না। আর ঢাকার গেরিলারা আজিমপুরে পিলখানায় ইপিআর হেড কোয়ার্টারের পাশে বিখ্যাত চায়না বিল্ডিং এর ছাদে মেশিনগান বসায়ে রাখছিলো একাত্তরে? এইটা বিশ্বাস করতে হবে আমাদের?
ভাইরে ভাই। আমরা বেকুব কিন্তু এতো বেকুব তো না।

No comments