Header Ads

সর্বশেষ

জান্নাতে যাওয়ার হিসাব-কিতাব।

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তিনি বলেন, কোন আহ্বানকারী জান্নাতী লোকেদেরকে আহ্বান করে বলবে, এখানে সর্বদা তোমরা সুস্থ থাকবে, কক্ষনো অসুস্থ হবে না। তোমরা স্থায়ী জীবন লাভ করবে, কখনো তোমরা মরবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কক্ষনো তোমরা বৃদ্ধ হবে না। তোমরা সর্বদা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে, কক্ষনো আর তোমরা কষ্ট-ক্লেশে পতিত হবে না। এটাই মহা মহিম আল্লাহর বাণী : “আর তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, তোমরা যে ‘আমাল করতে তারই বিনিময়ে তোমাদেরকে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে”- (সূরাহ্ আল আ‘রাফ ৭ : ৪৩) এর ব্যাখ্যা। (ই.ফা. ৬৮৯৪, ই.সে. ৬৯৫১)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৪৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তিনি বলেন, যে লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে সে স্বাচ্ছন্দে থাকবে কখনো দুর্দশাগ্রস্ত হবে না। তার পরিধেয় বস্ত্র কখনো পুরনো হবে না এবং তার যৌবন কক্ষনো শেষ হবে না। (ই.ফা. ৬৮৯৩, ই.সে. ৬৯৫০)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৪৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তিনি বলেন, মু’মিনদের জন্য জান্নাতে মধ্যস্থলে ফাঁকা এমন একটি মুক্তার তাঁবু নির্মাণ করা হবে যার দৈর্ঘ্য হবে ষাট মাইল। মু’মিনদের সহধর্মিণীগণও এতে থাকবে। তারা তাদের সকলের নিকট গমন করবে। তবে স্ত্রীগণ পরস্পর একে অন্যকে দেখতে পাবে না। (ই.ফা. ৬৮৯৫, ই.সে. ৬৯৫২)


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৫০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ)

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে (মু’মিনদের জন্য) মাঝে ফাঁকা এরূপ মুক্তার একটি বিশাল তাঁবু থাকবে, যার বিস্তৃতি হবে ষাট মাইল। এর প্রত্যেক প্রান্তেই স্ত্রীগণ থাকবে। তারা পরস্পর একে অপরকে দেখতে পাবে না। মু’মিনেরা ঘুরে ঘুরে সকল রমণীর নিকট যাবে। (ই.ফা. ৬৮৯৬, ই.সে. ৬৯৫৩)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৫১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

মুহাম্মাদ (রহঃ)

তিনি বলেন, লোকেরা গর্ব প্রকাশ করে বলল, অথবা আলোচনা করতঃ বলল, জান্নাতে পুরুষ অধিক হবে, না মহিলা? এ কথা শ্রবণে আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) বললেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি, যে দলটি জান্নাতে প্রথমে প্রবেশ করবে তাদের মুখায়ব পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে। তাদের পর যারা জান্নাতে যাবে তাদের চেহারা হবে ঊর্দ্ধাকাশের আলোকিত নক্ষত্রের মতো। তাদের প্রত্যেকের জন্যই থাকবে দু’ জন সহধর্মিণী। গোশ্তের এ পাশ হতে তাদের পায়ের নলার মগজ দৃশ্য হবে। জান্নাতের মাঝে কেউ (আর) অবিবাহিত থাকবে না। (ই.ফা. ৬৮৮৪, ই.সে. ৬৯৪১)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৩৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সর্বপ্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে। কুতাইবাহ্ ও যুহায়র ইবনু হার্ব (রহঃ) ….. আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বপ্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে। তাদের পর যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল আকাশে উদিত আলোকজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো হবে। তারা প্রস্রাব-পায়খানা করবে না, থু-থু ফেলবে না এবং নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনী হবে স্বর্ণের। তাদের গায়ের ঘাম হতে মিশকের ঘ্রাণ আসবে এবং তাদের ধূপদানী হবে ‘আলূওয়াহ্’ নামে এক ধরণের সুগন্ধি কাষ্ঠের তৈরি। তাদের স্ত্রীগণ হবে ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট। তাদের চরিত্র হবে একই লোকের চরিত্রের মতো। আদি পিতা আদাম (‘আঃ)-এর আকৃতির মতো হবে তাদের আকৃতি। যা ষাট হাত দীর্ঘ আকৃতি বিশিষ্ট। (ই.ফা. ৬৮৮৬, ই.সে. ৬৯৪৩)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রাঃ)

তিনি বলেন, যা আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তম্মেধ্যে একটি হলো এই যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে দলটি প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল পূর্ণিমার চাঁদের মতো আলোকজ্জ্বল হবে। তথায় তারা থু-থু ফেলবে না, নাক ঝাড়বে না এবং পায়খানাও করবে না। সেখানে তাদের বাসন এবং চিরুণীসমূহ স্বর্ণ এবং রৌপ্য নির্মিত হবে। তাদের ধূপদানী হবে ‘আলূওয়াহ্’ নামে এক ধরণের সুগন্ধি কাষ্ঠের নির্মিত। তাদের গায়ের ঘাম মিশ্কের মতো সুঘ্রাণযুক্ত হবে। তাদের প্রত্যেকেরই দু’জন করে সহধর্মিণী থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশ্তের উপর থেকে তাদের পায়ের নলাস্থিত মজ্জা পরিদৃষ্ট হবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না, আর কোন হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের অন্তঃকরণ একই অন্তরের মতো হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠে রত থাকবে। (ই.ফা. ৬৮৮৮, ই.সে. ৬৯৪৫)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭০৪৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

বিবাহের মাধ্যমে স্বামী তার স্ত্রী নামক পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণ ও খাওয়ানো-পরানোর দায়িত্ব পায়। হেদায়া, শামী, অালমগীরী সহ সকল ফতোয়ার কিতাবের ফতোয়া হচ্ছে – স্বামী দেনমোহরের দ্বারা স্ত্রীর যৌনাঙ্গের মালিক হয়ে যায়, অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে যৌনাঙ্গ খরিদ করা হয়। পারলে পড়ে দেখুন, ঠিক বললাম কিনা। বুখারী-৭-৬২-৮১ তেও বলা হয়েছে, স্বামীজি মোহর দ্বারা স্ত্রীর অঙ্গভোগের অবাধ স্বাধীনতা পায়!

# হাদিস : “দুনিয়া হচ্ছে ভোগের জায়গা, অার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম ভোগের বস্তু (মাতাউন) হচ্ছে নারী।” (মুসলিম-১৪৬৭, উবনু মাজাহ-৩৯৩৯; ৩৯৪০)

হাদিস: স্ত্রীকে সবসময় স্বামীর শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সহিহ বোখারি ৩০১০ ও ৪৮১৪-১৫ নং হাদিস।

হাদিস: বুখারী-৭-৬২-১২১: মুহাম্মদ বলেছেন: যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সাথে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর তার স্ত্রী অস্বীকার করে, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতারা ঐ মহিলার ওপর লানত/অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে।

সূরা আদ দোখান:53 – তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।

সূরা আদ দোখান:54 – এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে আনতলোচনা স্ত্রী দেব।

সূরা আত্ব তূর:20 – তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।

সূরা আর রহমান:56 – তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।

সূরা আর রহমান:72 – তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।
সূরা আর রহমান:74 – কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।

সূরা আর রহমান:76 – তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।

সূরা আল ওয়াক্বিয়া:22 – তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,

সূরা আল ওয়াক্বিয়া:35 – আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।

সূরা আন নিসা:57 – আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ। তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করব ঘন ছায়া নীড়ে।

সূরা আন-নাবা:33 – সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।

No comments