Header Ads

সর্বশেষ

যেসব প্রশ্নে ঈমান নড়বড়! পর্ব-১


আপনি যদি কোন মোল্লাকে প্রশ্ন করেন, “হুজুর, স্ত্রী সহবতের আগে কোন দোয়া পড়তে হয়?”, আনন্দে গদগদ হয়ে হাসিমুখে উত্তরখানা আপনাকে জানিয়ে দিবে উক্ত মোল্লা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করেন, “হুজুর, কোন কিছুই তো এমনি এমনি সৃষ্টি হয় না। তাইলে আল্লারে কে বানাইছে?”, ব্যাস! উক্ত মোল্লা প্রশ্নটি শুনেই আপনার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকাবে, যেন সে এইমাত্র ভূত দেখেছে! এরপর চেহারাখানা পেঁচার মত করে আপনাকে বলে দিবে, “আল্লারে কেউ বানায় নাই। সব বিষয়ে প্রশ্ন করবা না মিয়া, তাইলে ঈমান থাকবো না। আল্লাপাকের বিষয় লইয়া ভাবার মত জ্ঞান আল্লাহ আমাদের দেন নাই। এসব ভাবলে মাথা পাগল হইয়া যাইতে পারে। যাও, আসরের সময় হইছে, ওযু কইরা মসজিদে আসো।

কিছু লোক প্রশ্নকে মারাত্মক ভয় পায়। প্রশ্ন করতে নিরুৎসাহিত করে। তারা কারা? মিথ্যাবাদী, ভন্ড, প্রতারক, অপরাধী, মূর্খরা প্রশ্নকে ভয় পায়। কেননা, প্রশ্ন করলেই সত্যটা বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে। সম্ভাবনা থাকে ভন্ডদের মুখোশ খুলে যাওয়ার, মূর্খদের অজ্ঞতা প্রকাশ পাওয়ার। তাই এসব ব্যাক্তিরা সব সময় প্রশ্নকে এড়িয়ে চলতে চায়।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সবজান্তা শমসের, আমাদের হুজুরে পাক(সাঃ) প্রশ্নকে খুব বেশি ভয় পেতেন। প্রশ্নকারীকে গজবের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলতেন। তিনি আমাদের সাফ বলে দিয়েছিলেন, “আমি যেমনে কই, তেমনে চলবা। বেশি ফ্রশ্ন কইরবা না। তাইলে আল্লাপাকের গজবে ধ্বংস হই যাইবা।” নিম্নোক্ত হাদিসখানা লক্ষ্য করুন।

Sahih Bukhari, Vol. 9, Book 92, Hadith 391 | বাংলা ভার্শন

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাক, যে পর্যন্ত না আমি তোমাদের কিছু না বলি। কেননা, তোমাদের আগে যারা ছিল, তারা তাদের নবীদেরকে বেশি বেশি প্রশ্ন করা ও নাবীদের (নবীদের) সঙ্গে মতভেদ করার জন্যই ধ্বংস হয়েছে। তাই আমি যখন তোমাদেরকে কোন ব্যাপারে নিষেধ করি, তখন তাত্থেকে বেঁচে থাক। আর যদি কোন বিষয়ে আদেশ করি তাহলে সাধ্য অনুসারে মেনে চল। [মুসলিম ১৫/৭৩, হাঃ ১৩৩৭, আহমাদ ৯৭৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯০)

হুজুরে পাক(সাঃ) আরও বলেছেন, ধর্মীয় কিছু বিতর্কিত, সেনসিটিভ ব্যাপারে প্রশ্ন করাকে আল্ল্যাপাক ঘৃণা করেন [Bukhari, Vol. 2, Book 24, Hadith 555] । করবেনই তো, ওসব ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যে আল্লাহ আর তার দোস্ত মুহাম্মদ দুজনেই বিপদে পড়ে যান। তাছাড়া, প্রশ্ন করাকে নিরুৎসাহিত করে কোরানে আয়াত ডাউনলোড দিতেও ভুল করেন নি মুহাম্মদ। আয়াতে [Quran 5:101-102] বলা হইলো, প্রশ্ন করলে ঈমান হারিয়ে কাফের হইয়া যাইতে হইবে, তাই প্রশ্ন কইরো না। আল্যাপাক নিজেও বুঝে গেছেন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সাধ্য তার নেই, প্রশ্ন করলে তাসের ঘর উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

যাহোক, আজ আমি আল্লাপাক, মুহাম্মদ এবং তার অনুসারীদের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই। একসময় খুব জানতে ইচ্ছে করতো উত্তরগুলো। মসজিদের ইমামকে প্রশ্ন করে ধমক খেয়েছি, কোরআনে বিজ্ঞান খোঁজার মিশনে লিপ্ত ছদ্মবিজ্ঞানীদের লেকচার শুনেছি, উত্তর পাই নি। জাকির নায়েক, বেলাল ফিলিপস, হারুন ইয়াহইয়াদের কাছে ইমেইল করেছি, কেউ কেউ উত্তর দিয়েছেন, তবে তাদের উত্তর যৌক্তিক মনে হয়নি, গ্রহন করতে পারি নি। প্রশ্ন থেকেই গেছে। তবুও মনে হতো, এসব প্রশ্নের নিশ্চয়ই গ্রহনযোগ্য উত্তর আছে। আল্লাহ ঠিক আমাকে উত্তর জানিয়ে দিবেন। অপেক্ষা আর অপেক্ষা। কোন সুরাহা হয়নি। আজ আর সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজি না, কারণ আজ আমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার, সব প্রশ্নের উত্তর আমি পেয়ে গেছি। আপনাদের উদ্দেশ্যে সেসব প্রশ্নের কতগুলো উল্লেখ করবো। কয়টা প্রশ্নের জবাব আপনাদের কাছে আছে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

⭐ প্রশ্ন ১
কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, একটা ছোট বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষক এতই পাষন্ড ছিলো যে, শিশুটির যৌনাঙ্গ কেটে অতঃপর তাকে ধর্ষণ করেছে। জঘন্য!

এই ঘটনাটা নিশ্চয়ই আল্লাপাক লাইভ দেখতেছিলেন। কিন্তু তিনি এটা ঘটতে বাধা দেন নি। কেন?

ধর্ষককে পরবর্তীতে শাস্তি দিবেন, এই আশায় ধর্ষন হতে বাধা দেন নি? আপনি কি আল্লাপাকের এমন আচরণ নৈতিক বলে মনে করেন?

মেনে নিলাম যে, ধর্ষককে পরকালে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু আল্লাহ কি পারবে ঐ বাচ্চা মেয়েটার ক্ষতিপূরণ দিতে? সোনা গয়না, বাড়ি গাড়ি, বেহেস্তি মজাদার সব খাবার… কি দিয়ে আল্লাহ মেয়েটির ক্ষতিপূরণ দিবে পরকালে? আদৌ কি এর ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব?

কি বললেন? আল্লাহ চাইলে ক্ষতিপূরন দিতে পারবে যা আমাদের কল্পনার বাইরে? ওকে। বেশ ভালো। তো, ঐ অলৌকিক বিরাট ক্ষতিপূরণ নেয়ার বিনিময়ে, আপনি কি আপনার ছোট্ট মেয়ে কিংবা বোনটিকে এমন জঘন্যভাবে ধর্ষিত হতে দিতে রাজি আছেন?

⭐ প্রশ্ন ২
ইসলাম শান্তির ধর্ম, আজ তা বিশ্ববাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। আমাদের হুজুরে পাক(সাঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। কোরআনেও বলা আছে,
লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” অর্থাৎ “তোমার ধর্ম তোমার কাছে আর আমারটা আমার” [Quran 109:6]।
ধর্মের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই” [Quran 2:256]।

এই কথাগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে ইসলাম ত্যাগকারীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড কেন? একাধিক সহীহ হাদিস এবং সিরাত থেকে আমরা জানতে পারি, মুহাম্মদ নিজে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলাম ত্যাগকারী ব্যাক্তিদের হত্যা করতে [Bukhari, Vol. 9, Book 89, Hadith 271 & Bukhari, Vol. 4, Book 52, Hadith 260 & Bukhari, Vol. 9, Book 84, Hadith 64]

একটি ভালো মতবাদ, সুস্থ দর্শনের প্রতি মানুষ এমনিতেই আকৃষ্ট থাকে এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্যে তো কখনই কল্লা ফেলে দেয়ার দরকার হওয়ার কথা না। আপনার মতামত কি?

⭐ প্রশ্ন ৩
আপনার(নারীদের বলছি) মতে মুহাম্মদ হলো আদর্শ মহাপুরুষ, সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। কিন্তু আপনি চান না যে, আপনার স্বামীর যৌনজীবন মুহাম্মদের মত হোক। আপনি চান না আপনার স্বামী ডজনখানেক বিয়ে করুক [Bukhari, Vol. 1, Book 5, Hadith 268 & Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 142] , বুড়োকালে ৬ বছরের পিচ্ছি মেয়ে বিয়ে করুক [Muslim, Book 8, Hadith 3309 & Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 64] কিংবা ঘরের দাসীর সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনমিলন করুক [Sunan an-Nasa’i, Vol. 4, Book 36, Hadith 3411 & Bukhari, Vol. 9, Book 89, Hadith 321 & Quran 23:1-7]। কিন্তু কেন চান না?

ওহ… আচ্ছা। ১৪০০ বছর আগে নবীজির সময়ে এসব ঘটনা অতি স্বাভাবিক ছিলো, কিন্তু আজকের যুগে নয়। তাই তো?

তাহলে আপনি কি এটা মেনে নিচ্ছেন যে, আপনার নবীকে আর বর্তমানে অনুসরণ করা উচিত নয়? তিনি সর্বকালের অনুকরণীয় আদর্শ নন?

⭐ প্রশ্ন ৪
আপনি প্রায়ই নাস্তিকদেরকে “বান্দরের বংশধর” বলে গালি দিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসেন। কিন্তু একটিবারও কি ভেবে দেখেছেন যে, আপনার ধর্ম অনুসারে মানব জাতির বংশবৃদ্ধি হয়েছে অজাচার এর মাধ্যমে?

আপনি হয়তো অজুহাত দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন যে, তখন এছাড়া অন্য কোন উপায় ছিলো না। তাই তখন ভাই বোনে সেক্স করা হালাল ছিলো। মানব জাতির স্বার্থে। যদি এমনটাই ভেবে থাকেন, তাহলে বলবো, আপনার লবনে আয়োডিনের অভাব আছে। লবন চেঞ্জ করেন। আল্লাহ কি পারতো না, আদম হাওয়ার মত আরও কয়েক জোড়া দম্পতি পাঠাতে? ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের সন্তানদের মধ্যে বিয়ে দিতে? তাদের মধ্যে আত্মীয়তা করাতে? তাহলেই তো আর অজাচারের মাধ্যমে মানব জাতির বংশবৃদ্ধি করা লাগতো না। তাই না?

⭐ প্রশ্ন ৫
মুসলিমদের দাবী, কোরআন বিজ্ঞানে ভরপুর; ইহুদি-নাসারা বিজ্ঞানীরা কোরান থেকে তথ্য চুরি করে সব আবিষ্কার করে ফেলছে।  তবে, বিজ্ঞানীরা কিছু আবিষ্কার করার পরই কেবল মুসলিমরা সেটা কোরাণে খুঁজে পায়, তার আগে নয় কেনো?

⭐ প্রশ্ন ৬
মুহাম্মদ বলেছিলেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর রাত্রিবেলা সেটা আরশের নিচে গিয়ে সিজদায় পড়ে থাকে এবং পরের দিন উদিত হওয়ার জন্য অনুমতি চায় আল্লাহর কাছে। আল্লাহ অনুমতি দিলে সূর্য পরের দিন সকালে উদিত হয় [Bukhari, Vol. 4, Book 54, Hadith 421]।

এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, মোহাম্মদ ভাবতেন, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্যের আবর্তনের কারনেই দিনরাত্রি সংঘটিত হয় এবং পুরো পৃথিবী জুড়ে একই সময়ে রাত্রি আসে।

আমি তো জানতাম, সূর্যের দৌড়াদৌড়ির কারণে নয়, পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে দিনরাত্রি সংঘটিত হয়। আরও জানতাম, পুরো পৃথিবীতে একই সময়ে রাত আসে না। সূর্য ২৪ ঘন্টাই পৃথিবীর যেকোন অর্ধেকটা জুড়ে দৃশ্যমান থাকে। সুতরাং, তার বিশ্রাম নেয়ার কোনই সুযোগ নেই, আরশের চিপায় সিজদা তো দূরের কথা।

আপনার কি মনে হয়? মুহাম্মদের এইসব কথাবার্তা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? নাকি মূর্খের চাপাবাজি?

কিংবা, আপনি এই হাদিসটিকে “রুপক” বলে চালিয়ে দেয়াকেই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন?

⭐ প্রশ্ন ৭
ইসলাম অনুসারে, যুদ্ধের পর যদি মুসলিমরা বিজয়ী হয়, তবে পরাজিত কাফেরদের মা-বোন-বউ অর্থাৎ সকল নারীরা মুসলিম সৈন্যদের অধিকারে চলে আসবে এবং তাদের বন্দী করা হবে। যুদ্ধবন্দিনী ঐসকল নারীদের সাথে সেক্স করা হালাল হবে। কোরানে আল্লাপাক এর ঘোষনা দিয়েছেন, রয়েছে সহীহ হাদিসও। নবী মোহাম্মদ ও তার দলবল এই চর্চা করে গেছেন।[Sunan Abi Dawud 2155  (বাংলা ভার্শন) & Bukhari, Vol 9, Book 93, Hadith 506 (বাংলা ভার্শন) &  Quran 4:24]

আপনার কি মনে হয় যে, একজন যুদ্ধবন্দীনি নারী তার বাপ-ভাইয়ের খুনীদের সাথে স্বেচ্ছায় হাসতে হাসতে বিছানায় চলে যাবে? নাকি সেটা জোরপূর্বক করতে হবে?

যদি যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সেক্স করতে হয়, তাহলে সেটাকে কেন ধর্ষন বলা হবে না? আমরা কি বলতে পারি না যে, কোরাণ ধর্ষনের অনুমতি দিয়েছে এবং বিভিন্ন সহীহ হাদিস ও সিরাত দ্বারা মুহাম্মদ ও তার দলবল কর্তৃক যুদ্ধবন্দীনি ধর্ষন প্রমাণিত হয়েছে?

⭐ প্রশ্ন ৮
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামাতে এক নারী দোকান থেকে কয়েকটি ডিম চুরি করেছিলো। কারণ, তার পরিবারের সদস্যরা দুদিন যাবৎ কিছু খেতে পাচ্ছিলো না। তবে, চুরির সময় সে পুলিশের হাতে ধরা খায়। কিন্তু  পুলিশ অফিসার তাকে জেলে পুরে দেয় নি, বরং তাকে পুরো এক বাক্স ডিমসহ অন্যান্য খাবারদাবাড় উপহার দেয়। এরপর ঐ নারী লজ্জিত হয়, আনন্দে কেঁদে ফেলে।

একই ঘটনা সৌদি আরব কিংবা ইরানে হলে কি হতো? প্রয়োগ হতো শরীয়া আইন। কোরানে বলা আছে, কোন পুরুষ বা নারী চুরি করলেই তার হাত কেটে দিতে হবে [Quran 5:38]। হাদিসে বলা আছে, কেউ একটিমাত্র ডিম কিংবা এক টুকরো দড়ি চুরি করলেও তার হাত কেটে দাও [Bukhari, Vol. 8, Book 81, Hadith 791  (বাংলা ভার্শন]। এমনকি, এক দিনারের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ চুরি করলেও হাত কাটো [Bukhari, Vol. 8, Book 81, Hadith 780  (বাংলা ভার্শন]। এই শরীয়া আইন ফলো করে এখনও সৌদি, ইরানের মত দেশগুলোতে সামান্য কিছু চুরির অপরাধেও হাতের কব্জা কেটে দেয়া হচ্ছে। হাত কাটার অত্যাধুনিক মেশিন পর্যন্ত আবিষ্কার করেছে মুসলিম বিজ্ঞানীরা! সুতরাং, আমরা চোখ বন্ধ করেই বলতে পারি, আল্লাহ রাসূলের নিয়ম অনুযায়ী, ঐ নারীর ডিম চুরির অপরাধে হাত কাটা যেতো।

এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্টের ঐ পুলিশের বিচার, নাকি আল্লাহ-রাসূলের বিচার আপনার কাছে মানবিক মনে হয়? আমি বলছি না যে, সব সময় চোরকে শাস্তি না দিয়ে পুরষ্কৃত করা উচিত। আমি এটাই বলছি যে, পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা না করে, একটা ডিম চুরি করলেও কি তার হাত কেটে দেয়া উচিত? যে নারী তার ক্ষুধার্ত পরিবারকে খাওয়াতে নিরুপায় হয়ে ডিম চুরি করলো, তার হাত কেটে দেয়াটা কতোটা মানবিক?

আপনার মতামত কি? আপনি কি মনে করেন যে, ঐ নারীর বাসায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য উপহার না পাঠিয়ে তার হাত কেটে দেয়াই উচিত ছিল?

iran-amputation-machine
হাত কাটার অত্যাধুনিক মেশিনঃ মুসলিমদের যুগান্তকারী আবিষ্কার!

⭐ প্রশ্ন ৯
আল্লাহ কি এমন শক্ত একটি পাথর সৃষ্টি করতে পারবেন, যা তিনি নিজেই ভাঙতে পারবেন না?

⭐ প্রশ্ন ১০
আপনারা বলে থাকেন, আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। আবার এও বলে থাকেন যে, আল্লাহ সবজান্তা, তিনি অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সবকিছুই জানেন।

আল্লাহ যদি ভবিষ্যত জেনেই থাকেন, তাহলে আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কোন অর্থ হয়?

আরেকটি বিষয়ে বলুন তো। যেসকল নাবালক শিশুরা মারা যাচ্ছে, তারা বেহেশতে যাবে নাকি দোযখে?

যদি নাবালক শিশুরা মরার পর দোযখে যায়, তাহলে সেটা বিরাট অন্যায় হবে; আশা করি তা আপনাদের বিস্তারিত বলে বুঝাতে হবে না।

যদি তারা বেহেশতে যায়, তাহলে কেনো তাদের বেহেশতে দেয়া হবে? আমি দুনিয়াতে ৭০ বছর ধরে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলে তবেই বেহেশত পাবো, আর ফেইল করলে জাহান্নাম। কিন্তু যে নাবালক শিশুটা মারা গেলো, সে কোনরুপ পরীক্ষা দেয়া ছাড়াই বেহেশত পেয়ে গেলো!  এ কেমন দুর্নীতি?

⭐ প্রশ্ন ১১
মোহাম্মদ বলেছেন, কালিজিরা মৃত্যু ব্যাতিত সকল রোগের ঔষধ [Bukhari, Vol. 7, Book 71, Hadith 592  (বাংলা ভার্শন]। তাই যদি হবে, তাহলে মুসলিমরা কেন অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে দৌড়ায়? তারা কি নবীজির কথায় আস্থা রাখতে পারছে না?

⭐ প্রশ্ন ১২
কোরআন এর বহু আয়াত রয়েছে শুধুমাত্র নবী মোহাম্মদ এর ব্যাক্তিগত সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে [Quran 33:28-30 & 33:32-33 & 33:37-38 & 33:50-53 & 33:55-59 & 66:1-5]।

সমগ্র মানব জাতির জন্যে রচিত জীবন বিধানে নবীর জন্যে আল্লাহর এ ধরনের “বিশেষ” মাথা ব্যাথা থাকবে কেন?

⭐ প্রশ্ন ১৩
আদম কে তৈরি করার পর আল্লাহ সব ফেরেশতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদমকে সিজদা করতে [Quran 2:34]। ইবলিশ ছাড়া বাকি সব ফেরেশতারা নবী আদমকে সিজদাহ করেছিলো।

এই ব্যাপারটা নিয়ে কখনও কি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেছেন? সিজদাহ পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা তো ছিলো আল্লাহর। আদমকে কেনো সিজদাহ করা হবে? এটা কি শিরক হয়ে গেলো না? আল্লাহ কেনো ফেরেশতাদের শীরক করার নির্দেশ দিলেন?

যখনই কোন মোল্লাকে প্রশ্নটা করবেন, সে বলে দিবে, ওটা ছিলো সম্মান প্রদর্শনের জন্যে। ঐ সিজদাহ আর আমাদের ইবাদতের সিজদাহ এক না।

মোল্লার উত্তরটা কতখানি যৌক্তিক ও গ্রহনযোগ্য? সম্মান প্রদর্শনের জন্যে সিজদাহ করা যায়েজ হলে, আমরা এখন কেনো বাবা মা কিংবা গুরুজনকে সম্মান দেখিয়ে সিজদাহ করতে পারবো না? এখন এমনটা করলে সেটা কেনো শিরক বলে গন্য করা হবে? ব্যাপারটা কি আল্লাপাক আগে বুঝতে পারে নাই? মুহাম্মদের সাথে পরামর্শ করার পর ব্যাপারটা আল্লাপাকের মাথায় ঢুকছে? তাই এখন সম্মান প্রদর্শনের সিজদা নাযায়েজ?

আপনার কি মনে হয়না যে, নবি মুহাম্মদ আদম হাওয়াকে নিয়ে রুপকথার গল্প সাজাতে গিয়ে এই মিসটেকটা করেছিলো?

⭐ প্রশ্ন ১৪
এক ম্যাজিসিয়ান মঞ্চে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন…
একগুচ্ছ গোলাপ ফুল…
ফুলগুলোকে একটা পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হলো…
ছু মন্তর ছু…
পর্দা সরানো হলো…
বাহ! ফুলগুলো হয়ে গেলো একটা জ্যান্ত কবুতর!

উপস্থিত সব দর্শক মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিতে লাগলো আর ভাবলো, ম্যাজিসিয়ান আসলেই ফুলগুলোকে কবুতরে রুপান্তরিত করেছেন।

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ম্যাজিসিয়ানের ক্ষমতা নেই ফুলকে কবুতরে রুপান্তর করার। যখন পর্দা দিয়ে ফুলগুলো ঢেকে দেয়া হয়েছিলো, তখনই ম্যাজিসিয়ান তার হাতের কাজ সেরে নিয়েছেন সবার চোখের আড়ালে। পর্দা ছাড়া ঐ ম্যাজিসিয়ান কখনই ফুলকে কবুতরে রুপান্তরিত করতে পারবে না। এসব ম্যাজিক পর্দার আড়ালে, সবার চোখের অন্তরালেই সম্ভব।

ঠিক তেমনি, আমাদের নবী মুহাম্মদ ছিলেন একজন ম্যাজিকম্যান।

মোহাম্মদ এর কাছে ফেরেশতা জিব্রাইল নিয়মিত আসতো ওহী নিয়ে। কিন্তু সেই জিব্রাইলকে মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউই দেখেনি…
মুহাম্মদ বোরাক তথা ডানাওয়ালা ঘোড়ায় চড়ে সাত আসমান পাড়ি দিয়ে আসলেন। কিন্তু কারও সৌভাগ্য হলো না সেটা দেখার। কেউ তাকে “যাত্রা শুভ হোক” কথাটা বলার চান্সই পেলো না। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা যাত্রার শুরু ও শেষ সবই হয়ে গেলো রাত্রিবেলা, সবার চোখের আড়ালে…
মুহাম্মদ হাতের আঙুল দিয়ে ইশারা করে চাঁদ দুইভাগ করে ফেললেন, কিন্তু এই ঘটনা মুহাম্মদ ও তার কয়েকটা বিশ্বস্ত চ্যালা ছাড়া আর কেউ দেখে নাই। এতোবড় একটা অতিপ্রাকৃত ঘটনার উল্লেখ নেই পৃথিবীর কোন ইতিহাস বইয়ে!
আল্লাহ সর্বব্যাপী, কিন্তু সে সবসময় চোখের আড়ালে থাকতেই ভালোবাসে, সামনে আসতে পারে না…
আমাদের দুই কাঁধে থাকে দুই ফেরেশতা, চারপাশে জ্বীন ভাইয়েরা ঘুরে বেড়ায়… কিন্তু চোখে দেখতে পাই না…
ফেরেশতারা এসে মুহাম্মদের বুক ফেঁড়ে, কলিজা যমযমের পানি দিয়ে ধুয়ে অতঃপর ঈমানের প্যাকেট ঢুকিয়ে সেলাই করে দিলো, কিন্তু এই  ঘটনারও চাক্ষুস স্বাক্ষী নেই, মুহাম্মদের মুখের কথাই সবকিছু্‌…
এমন আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যায়…

এসবের যেকোন একটা ঘটনাও সরাসরি, সবার চোখের সামনে ঘটলে, ইসলাম নিয়ে কারও অবিশ্বাস থাকতো না। সবাই দলে দলে মুসলিম হয়ে যেতো। কিন্তু তা হয়নি। মুহাম্মদের মুখের কথা ছাড়া এসব ঘটনার আর কোন প্রমাণ নেই।

চোখের আড়ালে যা ঘটে, তাতে ভাওবাজির অনেক চান্স থাকে। ঐ ম্যাজিসিয়ানের মত, নবী মুহাম্মদও ভাওতাবাজি করছেন নাতো?

প্রমাণ ছাড়া, শুধুমাত্র শোনা কথায় বিশ্বাস না করাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে, মুহাম্মদ ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে যা যা বলেছেন, তার কিছুরই প্রমাণ নেই। কোনরুপ প্রমাণ না দিয়ে বলা তার মুখের কথা যদি আমরা অবিশ্বাস করি, সেটা কি খুব বড় অন্যায় হবে? এতোবড়ই অন্যায় হবে যে আমাদের চিরকাল ধরে জাহান্নামে গরম তেলে ফ্রাই করতে হবে? কারও মুখের কথায় বিশ্বাস না করার কারনে? WTF?

⭐ প্রশ্ন ১৫
ডজনখানেক স্ত্রী তো হালালই, এমনকি দাসীও হালাল!
তার উপর আবার বলা হচ্ছেঃ
কোন নারী যদি নিজেকে নবী মুহাম্মদের কাছে সমর্পন করতে চায়, তাহলে মুহাম্মদ তাকে বিয়ে করে বিছানায় নিতে পারবে। স্বয়ং আল্লাপাক এই ঘোষনা দিয়েছেন কোরানে [Quran 33:50]

তবে, নারীঘটির এই বিশেষ সুবিধাটি শুধুমাত্র আল্লাহর বেস্ট ফ্রেন্ড মুহাম্মদের জন্যেই। Exclusively for Muhammad! সুবিধাটি দেয়া হয়েছে মুহাম্মদের অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে। তাই, অন্য কোন মুমিনের জন্যে নয় এই অফারটি।

নারীঘটির ব্যাপারে এমন স্পেশাল সুবিধা কেনো দেয়া হলো মুহাম্মদকে? সমর্পনকারী ঐসকল নারীদের বিয়ে করতে না পারলে কি এমন অসুবিধা হতো মুহাম্মদের?

আয়াতটি বাংলা অর্থসহ পড়ে আপনার কি একটিবারও মনে হয়েছে যে, মুহাম্মদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আল্লাপাক খুবই চিন্তিত? এজন্যেই তিনি সমগ্র মানব জাতির জন্যে রচিত জীবন বিধানের পাতা অপচয় করে শুধুমাত্র তার বন্ধুর জন্যে স্পেশাল নারীঘটির সুবিধা দিয়ে আয়াত নাযিল করেছেন?

⭐ প্রশ্ন ১৬
আল্লাহ মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন, তারা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেনো, সব সময় কাবার দিকে মুখ করে নামায পড়তে হবে [Quran 2:144]

এটা শুধুমাত্র তখনই সম্ভব হবে, যদি পৃথিবী সমতল হয়। আমাদের গোলক আকৃতির পৃথিবীতে এটা সম্ভব নয়। আপনি মক্কায় অবস্থান করলে হয়তো কাবার দিকে মুখ করে নামায আদায় করতে পারবেন, কিন্তু মক্কা থেকে যতই দূরে সরতে থাকবেন, ততই আপনার দিক বদলে যাবে। প্রকৃতপক্ষে, আপনারা নামায পড়ছেন মহাশূন্যের দিকে, কাবার দিকে নয়।

কোরানে এমন অসম্ভব, আহাম্মকি নির্দেশ কেনো দেয়া হলো? আল্লাহ কি ভেবেছিলো পৃথিবী সমতল?

Praying_towards_the_Ka'aba

prostrate-kaba-flat-earth

⭐ প্রশ্ন ১৭
“হে আল্লাহ, তুমি আমাকে মুসলিম ঘরে পাঠাইছো, তোমার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া।”
— আপনি প্রায়ই এমনটা বলে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, কারণ তিনি আপনাকে মুসলিম পরিবারে জন্ম দিয়েছেন, তাই আপনার জাহান্নামে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আপনি গুনাহ করলেও কিছুদিন শাস্তি ভোগ করে অতঃপর ঠিকই জান্নাতের টিকিট পেয়ে যাবেন, কারন আপনার ঈমান আছে।

অপরদিকে, মুশরিক-কাফেরদের অবস্থা ভয়াবহ। তারা নিশ্চিতরুপেই জাহান্নামী এবং সেখানে তারা চিরকাল থাকবে [Quran 4:48 & 5:72 & 3:85 & 3:116]

ধরুন, একটা শিশু ভারতের হিন্দু পরিবারে কিংবা আমাজনের জংলী পরিবারে জন্ম নিলো। স্বাভাবিকভাবেই, সে তার পরিবার পরিজনকে অনুসরণ করে বিভিন্ন বস্তুর পূজা তথা শিরক করতে শিখবে। বাপ দাদার ধর্মই পালন করবে সারা জীবন। ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রে তাই হয়। অতঃপর, মরার পর আল্লাপাকের আক্রোশের স্বীকার হয়ে চিরকালের জন্যে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে। এক্ষেত্রে, ঐ লোকটির কি দোষ? আল্লাহ তাকে মুশরিক পরিবারে জন্ম দিয়েছে বলেই তো তার ভাগ্যটা এমন হলো। সে কোন মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে তার এই পরিস্থিতির স্বীকার হতে হতো না। এমন করে কখনও ভেবে দেখেছেন কি?

আমি সিওর যে, আপনি এই ব্যাপারটা ভেবে থাকলেও, আপনার আল্লাহ কখনই ভাবেন নি। এজন্যেই তিনি ঘোষনা করেন, ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মই তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং মুসলিম ছাড়া বাকি সবাই জাহান্নামের আগুনে পুড়বে [Quran 3:85]

⭐ প্রশ্ন ১৮
যুদ্ধে প্রাপ্ত নারী যেহেতু আল্লাহ কর্তৃক হালাল ঘোষনা করা হয়েছে [Quran 4:24 & 4:3 & 23:5-6 & 70:22-30], তাই তৎকালীন মুসলিমরা তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক (ধর্ষন) করে বাজারে দাস হিসেবে বিক্রি করতো।তবে, এই যৌন সম্পর্কের ফলে তারা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাদের বিক্রি করে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে না, তাই মুসলিমরা আজল পদ্ধতি (যোনীর বাইরে বীর্যপাত) অনুসরন করতো [Bukhari 7:62:137 & Bukhari 5:59:459 & Bukhari 8:77:600 & Muslim 8:3371 & AbuDawud, Book 11, Hadith 2150]

এরপরেও আপনি আপনার ধর্মের নৈতিকতা নিয়ে গর্ববোধ করবেন?

⭐ প্রশ্ন ১৯
আপনি কি “কোরান অনলি” মুসলিম? শুধুমাত্র কোরানকেই মানেন কিন্তু হাদিস, সিরাত ইত্যাদি মানতে নারাজ?

তার মানে কি আমি ধরে নিবো যে, আপনি হাদিস ও সিরাতে আপনার নবীর জঘন্য রুপটি দেখে লজ্জিত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন এবং মেনে নিতে পারেন নি বাস্তবতা। তারপর থেকেই হাদিস সিরাত অস্বীকার করা শুরু করেছেন? একমাত্র কোরান ছাড়া বাকি সব বাদ দিয়ে দিয়েছেন?

ওকে। ভালো কথা। আপনি কুরআন থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে পড়তে হবে তা বের করে দেখান। অথবা, কোরআন থেকে আপনার নবীর বংশ পরিচয় খুঁজে দেখুন তো। কিছু পাবেন বলে মনে হয়?

⭐ প্রশ্ন ২০
পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে ১ জন মানুষ মারা যায় ক্ষুধার জ্বালায়। এদের বেশির ভাগই শিশু। এরপরও কি আপনার মনে হয় সৃষ্টিকর্তা দয়ালু? তিনি রিযিকদাতা?

পরীক্ষা? কিসের পরীক্ষা? পরীক্ষা দেয়ার বয়স হয়নি এমন কোলের বাচ্চাদের ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলে যে পরীক্ষা নিতে হয়, সে নিষ্ঠুর পরীক্ষা কোন ভালো সত্তার পক্ষে নেয়া সম্ভব?

hunger2

hunger1

⭐ প্রশ্ন ২১

to be continue… প্রশ্ন ২১ দিয়ে পরবর্তী পর্ব শুরু করবো…

No comments