Header Ads

সর্বশেষ

মুহাম্মদকে স্বপ্নে দেখা আয়েশা


কথিত আছে যে মুহাম্মদ এবং আয়েশার বিয়েটা ছিলো একটি ঐশ্বরিক নির্দেশ । কিন্তু আসলেই কি তাই ? এই কথিত “ঐশ্বরিক নির্দেশের” আরো একটি পিঠ আছে যা অধিকাংশ মানুষের অজানা । ইসলামের ইতিহাসে আয়েশার বিয়েটা একমাত্র ঐশ্বরিক নির্দেশে বিয়ে নয় । মুহাম্মদের আরো একটা বিয়ে হয়েছিলো ঐশ্বরিক নির্দেশে । সেটা হলো মুহাম্মদ এবং তার পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রী যায়নবের বিয়ে ।

[সূরা আল-আহযাব ৩৩:৩৭]

“আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।”

যয়নব মুহাম্মদের সাথে তার বিয়েটা নিয়ে দম্ভ করতো যে তার বিয়েটা স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন । হাদিস সেটার বহু নমুনা পাওয়া যায় যেমন ।

[সহিহ বুখারী-৭৪২০]

“আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, — বর্ণনাকারী বলেন, (যায়নাব রাঃ) অপরাপর নবীর অন্যান্য স্ত্রীদের কাছে এ বলে গর্ব করতেন যে, তোমাদেরকে বিয়ে দিয়েছে তোমাদের পরিবার-পরিজন, আমাকে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা সাত আসমানের ওপরে বিয়ে দিয়েছেন।—”

[সহিহ বুখারী-৭৪২১]

“আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাঃ)-কে উপলক্ষ করে পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়। নবী (সাঃ) যায়নাবের সঙ্গে তার বিবাহ উপলক্ষে ওয়ালিমা হিসেবে সেদিন রুটি ও গোশত খাইয়েছিলেন । নবী (সাঃ) এর স্ত্রীদের উপর যাইনাব (রাঃ) গর্ব করে বলতেন, আল্লাহ তো আসমানে আমার বিয়ের সিদ্ধন্ত করেছেন ।”

যায়নবের এই দম্ভ পরিষ্কার নির্দেশ করে যে যায়নবই ছিলো একমাত্র স্ত্রী যাকে স্বয়ং আল্লাহ ঐশ্বরিক আদেশে বিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু আয়েশার ভাষ্য মতে মুহাম্মদ আয়েশা কে বলেছে যে আয়েশাকেও স্বয়ং আল্লাহ ঐশ্বরিক আদেশে বিয়ে দিয়েছেন ।

[সহিহ বুখারী-৭০১২]

“আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাকে (‘আয়িশাহকে) বিয়ে করার আগে দু’বার আমাকে দেখানো হয়েছে। আমি দেখেছি, একজন ফেরেশতা তোমাকে রেশমি এক টুকরা কাপড়ে জড়িয়ে বয়ে নিয়ে আসছে। আমি বললাম, আপনি নিকাব সরিয়ে দিন। যখন সে নিকার সরিয়ে দিল তখন আমি দেখতে পেলাম যে, সেই মহিলা তুমিই। আমি তখন বললাম, এটা যদি আল্লাহ্‌র তরফ থেকে হয়ে থাকে তাহলে তিনি তা সত্যে পরিণত করবেন। এরপর আবার আমাকে দেখানো হল যে, ফেরেশতা তোমাকে রেশমি এক টুকরা কাপড়ে জড়িয়ে বহন করে নিয়ে আসছে। আমি বললাম, আপনি (তার নিকাব) সরিয়ে দিন। সে তা সরিয়ে দিলে আমি দেখতে পাই যে, সেই মহিলা তুমিই। তখন আমি বললাম : এটা যদি আল্লাহ্‌র তরফ থেকে হয়ে থাকে তাহলে তিনি সত্যে পরিণত করবেন।”

কিন্তু আয়েশার কথা যদি সত্য হয় তাহলে যয়নাবের একক ভাবে অহংকার করার অর্থ কি ? এখানে যয়নাবের অহংকারের পক্ষে প্রমাণ মজবুত কারণ কোরানে যয়নাবের বিয়ে সম্পর্কিত আয়াত আমরা দেখতে পাই কিন্তু আয়েশার বিয়ে সম্পর্কিত কোন কথা আমরা কোরানে দেখি না । আর উপরোক্ত (বুখারী-৭০১২) হাদিসটির একমাত্র উৎস আয়েশা । আয়েশা ছাড়া অন্য কেউ বা মুহাম্মদ নিজে কখনো একথা বলেনি যে তাকে স্বপ্নে আয়েশা কে দেখানো হয়েছে আর আমরা জানি নবীদের স্বপ্ন ঐশ্বরিক আদেশ । কিন্তু কোরানে এই আদেশের কোন নিদর্শন নেই । এমনকি আয়েশার বিয়ের যখন কথা হয় তখনো এই ঐশ্বরিক আদেশের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না । নিচে খেয়াল করুন…

[আল তাবারি ভলিউম ৯, পেজ ১২৯]

“অনুবাদঃ যে কারণে আল্লার রসূল বিয়ের জন্য আয়েশা এবং সওদার হাত চেয়েছিলেন এবং গৃহীত বিবরণী কার সাথে তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন ।

যখন খাদিজা মারা গেলো উসমান বিন্ত মাযুন এর স্ত্রী কাওলা বিন্ত হাকিম যিনি মক্কায় ছিলেন আল্লার নবী কে বললেন “ও আল্লাহর নবী আপনি কি বিয়ে করবেন না ?” তিনি (মুহাম্মদ) বললেন, কাকে ? তিনি (কাওলা) বললেন, “একজন কুমারী অথবা আপনি যদি পছন্দ করেন একজন অ-কুমারী ।”  তিনি জবাব দিলেন, “কুমারী কে ?” (কাওলা) উত্তর দিলেন “আপনার কাছে আল্লার সবচেয়ে প্রিয় বান্দা আবু বক্করের মেয়ে আয়েশা বিন্ত আবু বাক্কার ।” তিনি (মুহাম্মদ) প্রশ্ন করলেন, “এবং অ-কুমারী কে?” তিনি (কাওলা) উত্তর দিলেন “সাওদাহ বিন্ত যাম’আহ বিন্ত কায়াস । তার আপনার উপর দীর্ঘ বিশ্বাস এবং সে আপনাকে অনুসরণ করেছে।” (সুতরাং নবী) তাকে নবীর পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠালেন ।”

এরপর বিবরণীতে কাওলা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আবু বক্করের কাছে যায় এবং আবু বক্কর বিয়েতে রাজি হয় সেই বিষয়ে লেখা আছে । এখানে দেখা যাচ্ছে নবীর আয়েশার সাথে বিয়েটা ছিলো সাধারণ একটা ম্যাচ মেকিং । কাওলা মুহাম্মদ কে আয়েশা কে বিয়ে করার পরামর্শ দেয় এবং মুহাম্মদ সেই পরামর্শে রাজি হয়ে আবু বক্করের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় । এখানে কোথাও মুহাম্মদের আয়েশা কে স্বপ্নে দেখার কথা বা ঐশ্বরিক নির্দেশের কথা উল্লেখ নেই । ঐশ্বরিক নির্দেশে এই বিয়ে হলে এখানে অবশ্যই সেটা উল্লেখ থাকার কথা । কিন্তু এখানে সেরকম কিছুই নেই । কিন্তু আয়েশা বলেছে যে নবী নাকি তাকে বলেছে যে সে আয়েশা কে স্বপ্নে দেখেছে । আয়েশা ছাড়া এই কথার কোন ভিত্তি নেই । তাহলে আয়েশা কি এখানে মিথ্যা বলেছে নবীর অন্য স্ত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য ? নাকি যয়নাব এখানে ভুল বলেছে যে একমাত্র তাকে আল্লাহ ঐশ্বরিক নির্দেশে বিয়ে দিয়েছে ? নাকি মুহাম্মদ আয়েশা কে স্বপ্নে দেখার গল্প শুনিয়েছে শুধুমাত্র আয়েশা কে খুশি করার জন্য ? কারণ আয়েশা ছিলো মুহাম্মদের সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী এবং সমগ্র পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ (রেফারেন্সঃ সুনানে ইবন মাজাহ-১০১,  বুখারী-৩৬৬২)।

আয়েশা খুবই হিংসুক মনের ছিলো এবং সে নবীর সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী হওয়া নিয়ে গর্ব করতো এবং একই সাথে সে মুহাম্মদের অন্যান্য স্ত্রীদের হিংসা করতো । আয়েশার এই হিংসুটে স্বভাবের জন্য মুহাম্মদের স্ত্রীরা দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো এবং দুই দলের ভিতর যথেষ্ট কোন্দল ছিলো (রেফারেন্স- বুখারীঃ২৫৮১) । এক দলে ছিলো আয়েশা, হাফসা, সাফিয়্যাহ ও সওদা আর অপর দলে ছিলো উম্মু সালমা সহ মুহাম্মদের অন্যান্য স্ত্রীরা । এখানে সন্দেহের তীর আয়েশার দিকে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক কারণ আয়েশা ছিলো হিংসুক এবং অহংকারী তার উপর যয়নাব ছিলো আয়েশার প্রতিপক্ষ দলের যে কিনা তার ঐশ্বরিক আদেশে বিয়ে হওয়া নিয়ে গর্ব করতো । আয়েশার হিংসুটে স্বভাবের বহু নমুনা হাদিসে পাওয়া যায় যেমন ।

[সহিহ বুখারী-৩৮১৬]

“আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) এর কোন স্ত্রীর প্রতি এতটুকু ঈর্ষা করিনি যতটুকু খাদিজাহ (রাঃ) এর প্রতি করেছি। কেননা, আমি নবী (সাঃ) কে তাঁর কথা বারবার আলোচনা করতে শুনেছি, অথচ আমাকে বিবাহ করার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। খাদিজাহ (রাঃ) কে জান্নাতে মণি-মুক্তা খচিত একটি প্রাসাদের খোশ খবর দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা নবী (সাঃ) কে আদেশ করেন। কোন দিন বকরী যবেহ হলে খাদিজাহ (রাঃ) এর বান্ধবীদের নিকট তাদের প্রত্যেকের দরকার মত গোশত নবী (সাঃ) উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে দিতেন।”

[সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২৬৮]

“আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) মধু ও হালুয়া (মিষ্টি) পছন্দ করতেন। আসর সালাত শেষে তিনি তাঁর স্ত্রীদের নিকট যেতেন। এরপর তাঁদের একজনের ঘনিষ্ঠ হতেন। একদা তিনি হাফসাহ বিন্‌ত উমারের নিকট গেলেন এবং অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক সময় কাটালেন। এতে আমি ঈর্ষা বোধ করলাম। পরে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে, তাঁর (হাফসাহ্‌র) গোত্রের এক মহিলা তাঁকে এক পাত্র মধু উপঢৌকন দিয়েছিল। তা থেকেই তিনি নবী (সাঃ)-কে কিছু পান করিয়েছেন। আমি বললামঃ আল্লাহ্‌র কসম! আমরা এজন্য একটা মতলব আঁটব। এরপর আমি সাওদাহ বিন্‌ত যাম‘আহকে বললাম, তিনি [রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)] তো এখনই তোমার কাছে আসছেন, তিনি তোমার নিকটবর্তী হলেই তুমি বলবে, আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি নিশ্চয়ই তোমাকে বলবেন “না”। তখন তুমি তাঁকে বলবে, তবে আমি কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বলবেনঃ হাফসাহ আমাকে কিছু মধু পান করিয়েছে। তুমি তখন বলবে, এর মৌমাছি মনে হয় ‘উরফুত নামক বৃক্ষ থেকে মধু সংগ্রহ করেছে। আমিও তাই বলব। সফীয়্যাহ! তুমিও তাই বলবে। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ সওদা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! তিনি দরজার নিকট আসতেই আমি তোমার ভয়ে তোমার আদিষ্ট কাজ পালনে প্রস্তুত হলাম। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) যখন তাঁর নিকটবর্তী হলেন, তখন সওদা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেনঃ না। সওদা বললেন, তবে আপনার নিকট হতে এ কিসের গন্ধ পাচ্ছি? তিনি বললেন হাফসাহ আমাকে কিছু মধু পান করিয়েছে। সওদা বললেন, এ মধু মক্ষিকা ‘উরফুত’ নামক গাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। এরপর তিনি ঘুরে যখন আমার নিকট এলেন, তখন আমিও ঐরকম বললাম। তিনি সাফীইয়্যাহ নিকট গেলে তিনিও তেমনই কথা বললেন। পরদিন যখন তিনি হাফসাহ এর কাছে গেলেনঃ তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনাকে মধু পান করাব কি? উত্তরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বললেনঃ আমার এর কোন দরকার নেই। ‘আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, সওদা বললেনঃ আল্লা্‌হর কসম! আমরা তাঁকে (তার একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি । আমি বললামঃ চুপ কর।”

[সহিহ বুখারী-৩৮২১]

“আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ খাদিজাহ এর বোন হালা বিনতে খুয়াইলিদ (একদিন) রসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুমতি চাইলেন। (দু’বোনের গলার স্বর ও অনুমতি চাওয়ার ভঙ্গি একই রকম ছিল বলে) নবী (সাঃ) খাদিজাহ অনুমতি চাওয়ার কথা মনে করে হতচকিত হয়ে পড়েন। তারপর (প্রকৃতিস্থ হয়ে) তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! এতো দেখছি হালা! ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) বলেনঃ এতে আমার ভারী ঈর্ষা হলো। আমি বললাম, কুরাইশদের বুড়ীদের মধ্য থেকে এমন এক বুড়ীর কথা আপনি আলোচনা করেন যার দাঁতের মাড়ির লাল বর্ণটাই শুধু বাকি রয়ে গিয়েছিল, যে শেষ হয়ে গেছে কতকাল আগে। তার পরিবর্তে আল্লাহ তো আপনাকে তার চাইতেও উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।”

আয়েশার মুহাম্মদের অন্য স্ত্রীদের প্রতি হিংসা ছিলো এবং সবচাইতে বেশী হিংসা ছিলো খাদিজার প্রতি কারণ খাদিজা কে মুহাম্মদের অন্যতম প্রিয় স্ত্রী বলা হতো ফলে আয়েশা মুহাম্মদের প্রিয় স্ত্রী হওয়ার স্থান হারানোর ভয়ে ছিলো । আমরা দেখলাম কিভাবে আয়েশা শুধুমাত্র অন্য স্ত্রীর কাছে একটু বেশী সময়য় কাটানোর জন্য মুহাম্মদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে তার প্রিয় পানিয় খাওয়া থেকে বিরত রাখে । আবার, খাদিজার বৃদ্ধ বয়স সম্পর্কে তার মুখের ভাষা কতো কঠোর ছিলো । খাদিজার প্রতি আয়েশার এই ঘৃণা ইসলামের জন্য একটি বড় বিষয় । আয়েশার খাদিজার প্রতি এই ঈর্ষা ও ঘৃণার কারণেই আয়েশা খাদিজার মেয়ে ফাতিমা এবং তার স্বামী আলী কে ঘৃণা করতো পরবর্তীতে মুহাম্মদের মৃত্যুর পর যার প্রভাবে মুসলিমরা আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ইতিহাসে প্রথম মুসলিমরা একে অন্যের গলা কাটে । এ বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখা হবে আশা করি । যাইহোক… এতদূর আলোচনায় এটা পরিষ্কার হয় যে আয়েশা একজন হিংসুক এবং ঈর্ষান্বিত নারী ছিলেন এবং তার চাইতে কারো মুহাম্মদের প্রিয় হওয়া বা ক্ষমতাবান হওয়া আয়েশা পছন্দ করতেন না । এবং একই সাথে মুহাম্মদের আয়েশা কে স্বপ্নে দেখার কথা আয়েশা ছাড়া আর কারো কাছে শোনা যায়নি । ফলে এখানে  রহস্য এবং কিছু প্রশ্ন থেকে যায় ।

প্রশ্ন-১: আয়েশা কি মুহাম্মদের অন্য স্ত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য তাকে স্বপ্নে দেখার গল্পটি তৈরি করেছে ?

প্রশ্ন-২: নাকি, যয়নাব ভুল ছিলো যে সেই একমাত্র যাকে ঐশ্বরিক আদেশে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ?

প্রশ্ন-৩: নাকি, মুহাম্মদ আয়েশা কে স্বপ্নে দেখার গল্পটি তৈরি করে আয়েশা কে খুশি করার জন্য ?

No comments