Header Ads

সর্বশেষ

মুহাম্মদ নিজেই মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় হত্যা করেছেন।

আপনার একটি সন্তান হয়েছে তাই আপনি অন্য জনের দুটি সন্তান কে হত্যা🔪🐉করতে হবে এটা সুন্নাতে রাসুল। 👉নবীজী কোন প্রাণিকেই ভালবাসতেন না। তিনি মানুষকেই জোড়ায় জোড়ায় হত্যা করেছেন।

👉সালমান ইবনু ‘আমির (রাঃ) ‎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‎বলতে শুনেছি যে, সন্তানের সঙ্গে ‘আকিকা সম্পর্কিত। ‎তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ ‘আকিকার জন্তু যবেহ্‌) ‎কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও। ‎(আ.প্র. ৫০৬৬, ই.ফা. ৪৯৬৩)‎

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৭১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

👉আল্লাকে খুশি করার জন্য পশু কোরবানি দেওয়া। তিনিই বা কেমন আল্লা প্রাণীদের প্রাণ নিয়ে তিনি খুশিতে নাচেন । তিনি কি জানেন না অন্য প্রাণীর সন্তানদেরকে হত্যা করলে অন্য প্রাণীরাও দুঃখ পায় তারাও কাঁদে। 😭

প্রথমত আকিকারএই দায়িত্ব পিতার ওপর হয়। পিতার সামর্থ্য না থাকলে সে ক্ষেত্রে মা সামর্থ্যবান হলে তিনি অথবা তাঁদের পক্ষ থেকে দাদা-দাদি, নানা-নানি আকিকা আদায় করবেন। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৩০/২৭৭)

👉তাহলে বন্ধুরা বুঝতেই পারছেন আকিকা খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 👇

আকিকার পশুর সংখ্যা : নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী ছেলেসন্তানের পক্ষ থেকে একই ধরনের দুটি বকরি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করা সুন্নাত। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৬/৩৩৬)

👉এ কেমন বিচার আপনার সন্তান হয়েছে বলে আপনি অন্য জনের সন্তানকে হত্যা করবেন। তা ও আবার দুটি আপনার একটি সন্তান জন্ম হয়েছে আপনি অন্য জনের দুটি সন্তান হত্যা করবেন। নবীজীর এ কেমন বিচার। আপনার সন্তানকে যদি বাঘে খায় আপনি নিশ্চয়ই কষ্ট পাবেন তাইনা। সেইম ভাবে অন্য প্রাণীরাও কষ্ট পায়। নবীজির কি এই বিষয় গুলো জানা ছিলনা। নবীজী কোনো প্রাণীকেই ভালবাসতেন না। নিতি মানুষকেই হত্যা করতেন আর পশুপাখির কথা অনেক দূরের। 👇

হজরত উম্মে কুরজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ছেলের জন্য এক ধরনের দুটি বকরি এবং মেয়ের জন্য একটি বকরি আকিকা করবে। (আবু দাউদ : ২৮৩৪)

👉😀আচ্ছা ছেলে হলে দুটি ছাগল। আর মেয়ে হলে একটি একটি ছাগল কেন। ইসলাম তো নারী কে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। তাই জন্মের দিন থেকে শুরু হয়ে গেলো সম্মান দেওয়া। 🤔👇

👉তবে ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করলেও মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও দুটি করা উত্তম। (রদ্দুল মুহতার : ৫/২১৩, আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৩০/২৭৭)

আকিকার দিন : সাধারণ সন্তান ভূমিষ্ঠের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে যদি কেউ কারণবশত সপ্তম দিন না করতে পারে, তবে পরবর্তী সময়ে যেকোনো দিন আদায় করতে পারবে। সপ্তম দিন মনে রাখার একটি সহজ পদ্ধতি হলো, সপ্তাহের যে দিনটিতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে, যেমনশুক্রবার, পরবর্তী সপ্তাহে ঠিক এর আগের দিন, অর্থাত্ বৃহস্পতিবার আকিকা আদায় করলে তা সপ্তম দিনে পড়বে। (আবু দাউদ : ২৮৩৭)

আকিকার জন্তুর ধরন : যেসব জন্তু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না, সেসব জন্তু দিয়ে আকিকাও শুদ্ধ হয় না। তাই আকিকার ক্ষেত্রে জন্তুর বয়স ও ধরনের দিক থেকে কোরবানির জন্তুর গুণ পাওয়া যায়, এমন জন্তুই নির্বাচন করতে হবে। (তিরমিযি : খ. ৪, পৃ. ১০১)

কোরবানির জন্তুর সঙ্গে আকিকা করা : কোরবানির জন্তুর সঙ্গে আকিকা করা বৈধ। একটি পশুতে তিন শরিক কোরবানি হলে সেখানে আরো দু-এক শরিক আকিকার জন্যও দেওয়া যেতে পারে। তদ্রূপ কোরবানির মতো একই পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে আকিকা আদায় করতে পারবে। (দুররুল হুক্কাম : ১/২৬৬) বড় পশুঅর্থাত্ গরু, মহিষ, উট ইত্যাদিতে ছেলের জন্য এক শরিক আকিকা দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে।

পশু জবাই করার আগে মাথা মুণ্ডিয়ে নেওয়া উত্তম। (আল মুকাদ্দামাতুল মুমাহ্হাদাত : ১/৪৪৯)

আকিকার গোশতের হুকুম : এটি কোরবানির গোশতের মতোই। কাঁচা ও রান্না করা উভয়টিই বণ্টন করতে পারবে। সর্বস্তরের লোক তা খেতে পারবে। এমনকি নিজের মা-বাবা, নানা-নানি, ধনী-গরিব সবাই নিশ্চিন্তে আকিকার গোশত খেতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৬/৩৩৬)

মৃত বাচ্চার আকিকা : যেহেতু আকিকা করা হয় বালামুসিবত দূর করার জন্য, তাই মৃত বাচ্চার পক্ষ থেকে আকিকা করা সুন্নাত নয়। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৭/৫৩৬)

No comments