মুহাম্মদের কার্টুন আঁকায় ফ্রান্সে এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা।
মুহাম্মদের আসল চরিত্র নিয়ে কিছু কার্টুন আকা এবং সেগুলো নিয়ে ক্লাসে পড়ানোর জন্য ফ্রান্সে এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করেছেন সেখানে বসবাসকারী ১৮ বছরের এক পাক্কা মুমিন। “Freedom of expression” বা “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা” ক্লাসে সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুহাম্মদের এই কার্টুনগুলো দেখিয়েছিলেন, যেটি আসলেই বাস্তব। আর এতেই ১৮ বছরের সেই প্রকৃত মুমিন ভাইটির মাথায় রক্ত উঠে যায় এবং ওই শিক্ষকের কল্লা কেটে আলাদা করে হত্যা করেন এবং নিজেও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়ে ৭২ জন হুরের দরবারে চলে যায়। এই মুমিন ভাইটির কি কপাল দেখছেন, মাত্র ১৮ বছরেই ৭২ জন হুর পাইয়া গেছে। মাশাআল্লাহ।
আচ্ছা মুমিন ভাইরা আমাকে একটু বলেন তো যে মুহাম্মদের ছবি কেন আঁকা যাবে না? ওহ আচ্ছা আপনাদের একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দেই, মিয়া ওইসব ভুজং ভাজং বুঝাইয়েন না যে অমুক হাদীসে আছে বা কোরআনের অততম পৃষ্ঠায় আছে। ওইসব হাদীস এবং কোরানের আলোকে অনেক জেনেছি, এবার আপনি আসল কাহিনী জানান।
অর্থাৎ আমি জানতে চাই যে হাজার হাজার বছর পরে যদি মুহাম্মদকে তাঁর অনুসারীরা ভালোবেসে আঁকেন, তাতে তাঁহার কি সমস্যা? তিনি কেন রেগে যান, তাহলে কি তিনি মাঝে মাঝে হেরেও যান?
তাছাড়া মুহাম্মদকে ভালোবাসবেই বা না কেন বলেন?
কারণ তিনি তো ছিলেন পৃথিবীর একমাত্র গুলু গুলু এবং স্বাস্থবান, শক্তিশালী, সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী। তাঁর কেশ ছিল ঈষৎ কোকড়ানো ঘন কালো এবং বুড়ো বয়সেও নাকি তার মাত্র গোটা ২০শেক চুল পেকে ছিল, সুবহানাল্লাহ। তাঁর ছিল সামান্য উঁচু আকর্ষণীয় দ্যুতিময় নাক ও ঝকঝকে সাদা ৩২টি দাঁত। তাছাড়া তিনি ঘামলে দুর্গন্ধ তো দুরের কথা বরং সুগন্ধিতে মেশকের ঘ্রাণও নাকি তুচ্ছ মনে হতো এবং তার ঘামের প্রতিটি ফোঁটাই মুক্তার মত ঝলমল করতো। আর তাঁর ঘামই মূলত এখন মুক্তা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।
এত রূপ গুণে গুণান্বিত হওয়ার পরও ওনাকে কেবলমাত্র বর্ণনাই করতে পারবেন আর খালি মাশাআল্লাহ, সুবহানাল্লাহ বলে প্রশংসা করতে পারবেন, এবং একবার দুইবার না সম্ভব হলে ২৪ ঘন্টাই করবেন। কিন্তু খবরদার ভুলেও তার ছবি আকবেন না! আর যদি শয়তানের ধোকায় পরে একবার একেও ফেলেন তাহলেই কিন্তু আপনি “কট”। অর্থাৎ ওনার সার্গিদ বা মুমিনরা আপনাকে জবাই করে হত্যা করবে। কারণ এটি মুহাম্মদের রাজনৈতিক দল ইসলামের স্পষ্ট বিধান।
এবার আসুন ইসলামের বিধানে কি আছে জেনে নেই!
إِنّ أَشَدّ النّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ المُصَوِّرُونَ
কিয়ামতের দিন ছবি অঙ্কনকারীরা আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি শাস্তির সম্মুখীন হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৫০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১০।
অন্য হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنّ الّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصّوَرَ يُعَذّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ.
নিশ্চয়ই যারা এসকল ছবি আঁকে তাদেরকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে এবং বলা হবে- তোমরা তোমাদের সৃজিত বস্তুতে (পারলে) প্রাণ সঞ্চার কর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৫১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১০৮।
এই হাদীস দুটো পড়ে এটাই বুঝলাম যে মুহাম্মদ তো দুরের কথা, কোন কুুকুর-বিরালেরও ছবি তোলা বা আঁকা যাবে না। এটি সম্পুর্ন হারাম।
এখন খাটি মুমিনদের কাছে আমার প্রশ্ন:
আপনারা যে বলেন বিগত দিনে পৃথিবীতে যা হয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতেও যা হবে সবই আল্লাহ এবং মুহাম্মদের জানা। তাহলে তিনি কি জানতেন না যে ১৪শ বছর পরে ইহুদি নাসারারা 4K ক্যামেরা তৈরি করবেন? তাহারা কি জানতেন না যে শেষ জামানায় অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন বাজারে ছাড়বেন এবং সেইসব ডিভাইস দিয়ে এই যুগে বড় বড় প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদরা ভিডিও ধারণ করে ইহুদি নাসারারাদেরই প্লাটফর্ম ফেসবুক এবং ইউটিউবে দিয়ে হারাম ইনকাম করবে। নাউজুবিল্লাহ! আস্তাগফিরুল্লাহ!!
তবে বর্তমানের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ এবং আলেমগণদের কাছে আরও একটি প্রশ্ন:
আপনারা যে মুহাম্মদের একখানা ছবি আঁকলেই মানুষকে জবাই করে হত্যা করেন। কিন্তু আপনারা নিজেরাই তো মাশাআল্লাহ 4K, DSLR, Oppo Find X2 Pro 60fps video with HDR (4K/30fps tested) ক্যামেরা দিয়ে পেছনে Blue/Green কাপড় টাঙিয়ে মানে ক্রোমাতে শুটিং করে ব্যাকগ্রাউন্ডে হরেক রকম এনিমেশন দিয়ে নিজেদের জকজকা ছবি এবং ভিডিও খানা আপলোড করেন। এতে কি আল্লাহ ও মুহাম্মদের প্রদত্ত আদেশ-নিষেধ ও বিধি-বিধান অমান্য করা হলো না?
মিয়া মুহাম্মদের চাইতে আল্লাহ একটু ভালো বিধায় এখনো সাত আসমান থেকে নাইমা আইসা আপনাদের কল্লা টল্লা আলাদা করে না। আর যদি মুহাম্মদের হাতে ক্ষমতা থাকতো, তাহলে এতদিনে কবর থিকা উইঠা আইসা “বনু কুরাইজা গোত্রের” মত বর্তমান মোল্লাদের বা আপনাদের হত্যা করতো এবং সংসারে থাকা নারী ও শিশুদের দাস-দাসী বানাইয়া লইয়া যাইতো।
No comments