কেয়ামতের পূর্বেই হুরদের সাথে দেখা হয়ে যাবে কি?
কেয়ামতের পূর্বেই হুরদের সাথে দেখা হয়ে যাবে কি?
তবে হ্যাঁ, সবকিছু বন্ধ হলেও বলাৎকার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আপন গতিতে। আর এজন্যই বর্তমান বাংলাদেশটা ‘‘চর্ম নাই’’ পীর সাহেব মুফতি সৈয়দ ফজলুল করীম থেকে শুরু করে সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকিদাতা মোহসিন তালুকদার দিয়ে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে।
সমাজের দুই পয়সারও কাজে না লাগা চর্ম নাই’র পীর ফজলু নামের এই আহাম্মক বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য তৈরী হলে সেটি নাকি বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেবে। এই গোমূর্খগুলো কি ভাস্কর্য এবং মূর্তির পার্থক্যও বোঝেনা? এত বড় একটা কথা বলেছে অথচ এই বুদ্ধিভ্রষ্টকে এখনো কানের নিচে থাপ্পর দিয়ে আইনের আওতায় না এনে বরং সরকারই উল্টো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কিংবা তাকে সান্তনা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে বলে মনে হচ্ছে।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও মোহসিন তালুকদারের মতো ধর্মান্ধ কিংবা গবেট খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যেত। ছিলোনা যে তা বলবো না, তবে ইন্টারনেট না থাকাতে আমরা সেই গবেটগুলোকে দেখতে পেতাম না। আর আজ ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে দেখতে পাচ্ছি যে সেই গবেটগুলো দিয়ে দেশটির কোনা-কাঞ্চি ভরে গেছে। তারা এখন কথায় কথায় ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে। এই সুযোগে মোল্লারাও কুসংস্কার ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শত শত মুমিনদের জীবন আল্লাহর হাতে সোপর্দ করতে বাধ্য করছে। এদিকে মুমিনরাও ৭২টি হুর পাবে বলে হাসতে খেলতে জান দিয়ে দিচ্ছে।
আমরা এতোটাই মুর্খ এবং অন্ধ একটা জাতি ছিলাম যে আজহারী সাহেব মালয়েশিয়া থেকে ৩,৬৯৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে লক্ষ লক্ষ আয়না বিক্রি করতে সের্ফ কয়েক মাস সময় নিয়েছে। এই মালটা অন্যদের থেকে আলাদা এবং খুবই কম সময়ে জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল জান্নাতের হুরপরী। এই জিনিসটাই সর্ব প্রথম বাংলাদেশের উর্তি বয়সী পোলাপানগুলোকে মিশক, জাফরান দ্বারা পয়দা হওয়া সৈান্দর্য্যের দরুণ হাড্ডির সিরা-উপসিরা পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হুরদের সাথে মিলনের অনুভূতি দিয়েছেন।
৫ই মে ২০১৩ সালে এগুলোকে শাপলা চত্ত্বর থেকে কান ধরে যার যার মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছিল তাতেও এদের শিক্ষা হয়নি। মামুনুল হক এবার আবারো নাকি তওহিদি জনতা নিয়ে শাপলা চত্ত্বর কায়েম করবে, কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যেটিকে তারা মূর্তি বলে সেটি স্থাপন বন্ধ না করলে। এক তো এই ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক করোনাকালীন যাবতীয় বিধিনিষেধ লঙ্ঘন কোন রকম মাস্ক ছাড়াই রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান করছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতাতুল্য অপরাধ করছে, কিন্তু এসব দেখেও শেখ হাসিনা কানে তুলা আর চোখে টিনের চশমা পড়ে বসে আছে। যদি আবার তাকে কিছু বলে সেই ভয়ে।
আর একারণেই এর আগে মোশারফ করিম ক্ষমা চাইলেন। গতকাল সাকিব আল হাসান এক মুমিনের ধারালো তরবারি দেখেই ভয়ে নিজেকে ইসলামের প্রবর্তক রূপে আত্মপ্রকাশ করলেন। আগামীতে এই মোল্লারাই আবার কার কার কান ধরিয়ে উঠবস করায় সেই আতঙ্কে আছি!
তবে আশার আলো একটু একটু বের হচ্ছে ওদিক দিয়ে যে, এদের নিজেদের মধ্যেই এখন ভাঙন ধরেছে। বাবুনগরী আর আনাস মাদানীর মধ্যে দাওয়াত নিয়ে কোন্দল শুরু হইছে। মোট কথা এরা নাস্তিক মুরতাদদের পেছনে লাগতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের পশ্চাৎদেশে লাথি মারা শুরু করেছে।
No comments