Header Ads

সর্বশেষ

নামে মুহাম্মদ কামে ইতরামী

 


এমডি মাহাদি হাসান: যুক্তরাজ্যে শিশুদের নামের শীর্ষে আছে “মুহাম্মদ”! “অলিভার”, “হ্যারি-ফ্যারি” পিছনে ফেলে “মুহাম্মদ” এক নম্বরে উঠে এসেছে। এটা মূলত মুসলিম এশিয়দের জনসংখ্যার একটা প্রতিফলন। মুসলমানদের প্রায় ৯৯ ভাগ নামের শুরুই হয় মুহাম্মদ দিয়ে। মুসলিম বাবা-মা নিজের ছেলে সন্তানের নাম নবী মুহাম্মদ ও সাহাবীদের নাম অনুসারে রাখেন। । এসব সোয়াব ছাড়াও বাবা-মায়েদের মনের সুপ্ত বাসনা সন্তান যেন নবী বা সাহাবীদের আখলাক বা চরিত্র পায়। নবী ও সাহাবীদের “ফেরাস্তার” মতই নিস্পাপ, সৎ চরিত্রের মানুষ মনে করা হয়। সাধারণ মানুষের জন্য বিপদজনক যেটা, নবী ও সাহাবীদের সম্পর্কে এই মিথ তাদেরকে বড় ধরনের অন্যায়, অবিচারকে অন্ধ অনুসরন করতে দেখা যায়- কারণ সাধারণ মানুষ সাহাবীদের অনুকরণ করতে চায়।

তারা সাহাবীদের মত ধর্মীক হতে চায়। কুরআন-হাদিস তথা ইসলামী জ্ঞান কম থাকায় লোকে এই কল্পিত গাল-গল্পকে বিশ্বাস করে ফেলে। নিচের কুরআনের সুরা আল আহজাবের একটা আয়াত নবী মুহাম্মদের সঙ্গিদের সম্পর্কে স্তম্ভিত করে দেয়ারে মত অভিযোগ আছে! দেখুন- “পরিচ্ছেদ-৭, ৫৩. ওহে যারা ঈমান এনেছো! তোমরা নবীর ঘরগুলোতে প্রবেশ করো না তোমাদের খানাপিনার জন্য অনুমতি না দেয়া হলে- রান্নাবান্না শেষ হবার অপেক্ষা না করে, বরং যখন তোমাদের ডাকা হয় তখন তোমরা প্রবেশ করো, তারপর যখন তোমরা খেয়ে নিয়েছো তখন চলে যেও এবং গড়িমসি করো না বাক্যালাপের জন্য। নিঃসন্দেহে এসব নবীকে কষ্ট দিয়ে থাকে, অথচ তিনি সংকোচবোধ করেন তোমাদের জন্য, কিন্তু আল্লাহ সত্য সম্বন্ধে সংকোচ করেন না। 
আর যখন তোমরা তাদের কাছে কোন-কিছু চাও তখন পর্দার আড়াল থেকে তাদের কাছে চাইবে। এটিই অধিকতর পবিত্র তোমাদের হৃদয়ের জন্য এবং তাদের হৃদয়ের জন্যও। এটি তোমাদের জন্য নয় যে তোমরা নবীকে উত্ত্যক্ত করবে, আর এটিও নয় যে তারপর তোমরা কখনো তাঁর পত্মীদের বিবাহ করবে। নিশ্চয় এট আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার…”
কি ভয়ংকর কথা! এসব তাহলে সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বলা? নবী তাহলে তার সঙ্গে ছায়ার মত চলা সঙ্গিদের সন্দেহ করতেন? সাহাবীরা নবীর গৃহে গিয়ে তার স্ত্রীদের প্রতি এমনই আকর্ষণ অনুভব করতেন যা দেখে নবী কষ্ট অনুভব করতেন! বুঝাই যায় নবীর অল্প বয়েসী স্ত্রীদের প্রতি সাহাবীদের উঁকি-ঝুঁকি ছিল। বিষয়টা কতটা গুরুত্ব ও আশংকার ছিল সেটা অনুমান করা যায় স্বয়ং আল্লাকে এ বিষয়ে আয়াত নাযিল করতে হলো বলে। আল্লাহ বলে দিচ্ছেন, খাওয়াদাওয়া শেষ হলেই উঠে চলে যাও। প্রয়োজনীয় কথা থাকলে পর্দার বাইরে থেকে বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করো! নবী সম্ভবত তার স্ত্রীদেরও অনুরূপ বিশ্বাস করতেন না।
তার কি ধারনা ছিল তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীরা পছন্দের সাহাবীদের বিয়ে করে ফেলতে পারে? যেমন সাহাবীরা লোভ করতো নবীর স্ত্রীদের প্রতি? নইলে কেন আল্লাহ আগ বাড়িয়ে বলতে যান- নবী স্ত্রী হলো উম্মতের মা! নবী পত্মীদের বিয়ে করা হারাম! স্বয়ং আল্লার নবী বলে যাকে তারা বিশ্বাস করতেন (আসলেই কতজন মুহাম্মদকে মন থেকে নবী বলে বিশ্বাস করতেন?) তার স্ত্রীদের প্রতি এহেন আচড়ণ সাহাবীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না? যেখানে কুরআনের আয়াত সাক্ষি দিচ্ছে…।

No comments