Header Ads

সর্বশেষ

আল জাজিরার ​ডকুমেন্টারি প্রসঙ্গে

আল জাজিরার ডকুমেন্টারির উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তের আহবানের খবর দেশের মিডিয়া ছাপায় না। আফসোস।

একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন বেপরোয়া বিবৃতি পুরো দেশকে কেমন ঝামেলায় ফেলে দিতে পারে সেটা আমরা আইএসপিআরের বিবৃতির প্রতিবাদে জাতিসংঘের বিবৃতিতে লক্ষ্য করছি।
"নজরদারির সরঞ্জাম আমরা জাতিসংঘ মিশনে ব্যবহারের জন্য কিনেছি।" এটা বলার সময়ে মনে রাখা উচিৎ ছিলো এই বিবৃতিটা জাতিসংঘ দেখবে আর অবশ্যই জানতে চাইবে তোমাদের কাছে কবে কোথায় এই সরঞ্জাম ব্যবহারের রিকুইজিশন দিয়েছে জাতিসংঘ?
এই বিবৃতি কোন উর্বর মস্তিষ্ক থেকে বাইর হইছে, খোদা মালুম।
আমি যে বারবার বলি ইন্সটিটিউটের কথা। ইন্সটিটিউটকে ইন্সটিটিউট হিসেবে ফাংশন করতে দিতে হয়। ইন্সটিটিউট দল হয়ে গেলে রাষ্ট্র নিজেই বিপদে পড়ে।
"শেখ হাসিনার বাংলাদেশ" এই কথাটার আবেগ দেখলেন, কিন্তু কত বড় বিপদ আছে এই কথাটায় দেখলেন না। শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ রাষ্ট্র সমার্থক নয়। ব্যক্তি শেখ হাসিনা, আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনা আর রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী দুটো আলাদা বিষয়।
এমনভাবে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। গোটা দেশ এখন এর মাশুল দেবে। জাতিসংঘকে জড়িয়ে এই বিবৃতি দেয়ার আগে কারো কেন মনে আসেনি এইটার কন্সিকুয়েন্স জাতিসংঘ পর্যন্ত যাবে?
জাতিসংঘ মিশনের কোন ভবিষ্যৎ আলোচনায় আইএসপি আরের বিবৃতির বিষয়ে অবশ্যই প্রশ্ন আসবে। কী ব্যখ্যা দেবেন? জাতিসংঘ মিশনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়ার দায় কার?
আমরা দেশে গনতান্ত্রিক শাসন চাই, অব্যাহত মানবাধিকার লংঘনের অবসান নাই, ভোটের অধিকার চাই। আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভোটের অধিকার হরণ করেছে, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, মানবাধিকার লংঘন করেছে। এটা আমরা বলে যাবোই। আমরা এটা বলেছি, যেন দেশ বিপদে না পড়ে। আমরা বোকা হলেও এটা বুঝি রাষ্ট্র দুর্বল হলে দেশ বিপদে পড়বেই।
কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে, যা খুশী বলে পার পেয়েছেন এতোদিন। নৈশ ভোটের কেলেঙ্কারি নিয়েও তেমন ঝামেলায় পড়তে হয়নি। এইবার ভেবেছিলেন জাতিসংঘের ঘাড়ে বন্দুক রাখবেন। ওরে আমার কনফিডেন্স রে।

No comments