Header Ads

সর্বশেষ

ধর্ম ত্যাগীদের হত্যা করা

বোখারী হাদীস নাম্বার ২৫৯২: ইকরিমা (রা) বর্ণনা করিয়াছেন, খলিফা আলী (রা) এর নিকট একদল লোককে উপস্থিত করা হইলো যাহারা ধর্মত্যাগী হইয়াছিল। আলী (রা) তাহাদিগকে আগুনে পোড়াইয়া দিলেন। ইবনে আব্বাস (রা) এই সংবাদ অবগত হইয়া বলিলেন, আমি শাসনকর্তা হইলে তাহাদিগকে আগুনে পোড়াইতাম না. কারণ, রাসূলুল্লাহ (স) নিষেধ করিয়াছেন – তোমরা আল্লাহর আজাব তথা আগুনে পোড়াইবার শাস্তি কাহাকেও প্রদান করিও না. অবশ্য আমি তাহাদিগকে হত্যা করিতাম, কারণ রাসূলুল্লাহ (স) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি দীন ইসলাম ত্যাগ করিবে তাহাকে কতল করিয়া ফেলো।

বোখারী হাদীস নাম্বার ২৫৯৩: আবু বোরদাহ (রা) বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ (স) আবু মুসা (রা) এবং মোয়াজ (রা) কে ইয়ামান দেশের শাসনকর্তা বানাইয়া পাঠাইয়াছিলেন। তাহারা উভয়ে নিজ নিজ এলাকার হায়িত্বে চলিয়া গেলেন। তাঁহাদের নীতি ছিল – একজন অপর জনের এলাকার নিকট দিয়া যাওয়ার সময় অবশ্যই পরস্পর সাক্ষাৎ ও সালাম কালাম করিয়া যাইতেন।

একদা মোয়াজ (রা) আবু মুসা (রা) র নিকট দিয়া যাইতে তাঁহার সাক্ষাতে আসিলেন। দেখিলেন, আবু মুসা (রা) বসিয়া আছেন এবং তাঁহার সম্মুখে অনেক লোকের ভীড় , আর এক ব্যক্তিকে উভয় হস্থ তাহার ঘাড়ের সহিত বাঁধিয়া রাখা হইয়াছে। মোয়াজ (রা) আবু মুসা (রা) কে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, এই ব্যক্তি ইহুদী ছিল, পরে মুসলমান হইয়াছিল। এখন সে ইসলাম ত্যাগ করতঃ আবার ইহুদী হইয়া গিয়াছে। মোয়াজ (রা) বলিলেন, তাহাকে প্রাণ দন্ড না দিলে আমি আপনার নিকট অবতরণ কৰিব না. আবু মুসা (রা) বলিলেন, প্রাণ দন্ড দেওয়ার জন্যই তাহাকে বন্দি করিয়া আনা হইয়াছে, আপনি অবতরণ করুন। মোয়াজ (রা) বলিলেন, প্রথমে তাহার প্রাণ দন্ড কার্যকরী করুন, তারপর আমি অবতরণ কৰিব। আবু মুসা (রা) প্রাণদণ্ডের হুকুম দিলেন , তাহাকে প্রাণ দন্ড দেওয়া হইলো।

এখন আমার প্রশ্ন, সংবিধানে তো বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। তাহলে, দেশের হাজার হাজার নাস্তিকদেরকে কেন প্রাণ দন্ড দেওয়া হইতেছে না?

এটা হচ্ছে ইসলাম ধর্মের অন্ধকার দিক. অন্য কোন ধর্মে ধর্ত্যাগীকে হত্যা করা হবে এইরূপ নিয়ম আছে কিনা আমার জানা নাই.

No comments