Header Ads

সর্বশেষ

হিন্দু এবং মুসলিম ধর্মের যত কুসংস্কার


শোনা যায় একজন ব্রাহ্মণ অন্য জাতের কাউকে বিয়ে করলে নাকি পরের জন্মে গুয়ের পোকা হয়ে জন্মায় তদ্রূপ অন্য জাতের কেউ ব্রাহ্মণকে বিয়ে করলে সেও এভাবে জন্মাবে, এটা সত্যিই হাস্যকর! আবার হিন্দুপরায়ণরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে করতে পারবে  না, তাতেও নাকি জাত যাবে, সবাই হেহ করবে। বর্তমানকে ভালোবেসে উপভোগ না করে মানুষ পরে আছে পরের জন্ম নিয়ে, যুগে যুগে বন্ড পন্ডিত এসেছেন আর এইসব কুসংস্কার আবিষ্কার করে গেছেন। যাদের না ছিল কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা, না ছিল কোনো স্বশিক্ষা।


বলা হয়ে থাকে হিন্দু ধর্ম সবচাইতে পুরাতন ধর্ম, এই ধর্মে ৩৩কোটি দেবতা আছেন। এখন যারা পন্ডিত পূজা করেন, হুট করে এক জনকে ধরে যদি জিজ্ঞাসা করেন; আচ্ছা, আপনি তো ঠাকুর, পুরু হিত মানুষ ধর্ম সম্পর্কে সব জানেন তো কজন দেবতাকে আপনি স্বচোক্ষে দেখেছেন বা কজন দেবতার নাম আপনি মুখস্থ বলতে পারবেন? ৩৩কোটি লাগবে না, আপনি ১০০০দেবতার নাম মুখস্থ বলেন। আমি পরখ করে বলতে পারি পারবে না, সে যে ব্যক্তিই হোক। তাহলে কেনো এই ব্রাহ্মণকে সর্বোচ্চ আসনে বসান হয়েছে হিন্দুধর্মে? এগুলা আসলে এক ধরণের মূর্খ তা, জ্ঞান-হীনতা, অমানবিকতার পরিচয়। আবার লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেক হিন্দুধর্মাবলম্বীরা গরুকে দেবতা মানে, শুধু তাই নয় এই গরুর মূত্রও এরা পান করে এবং এই গরুর মূএই এরা প্রসাদ হিসেবে মানে ও খায়। কিন্তু এরা একবারও চিন্তা করে না যে এই গরুর মূএে কতো ধরণের রোগ-জীবাণু আর ভাইরাস থাকতে পারে, যা মানব জাতির জন্য বড় ধরণের বিপদ বয়ে আনতে পারে। আবার এই গরুর মল এরা ব্যবহার করে পূজোর জায়গা শুদ্ধ করার জন্য, এটা এক ধরণের পাগলামি বলা যেতে পারে।

তদ্রূপ মুসলিম! বর্বর জাতি দের মধ্যে প্রথমেই যাদের নাম। তাদের মধ্যে আবার দেখা যায় একদল হলো রেপিষ্ট নবীর অনুসারী, আরেক দল হলো নিজে নিজেকে কষ্ট দিয়ে, মেরে জীবনের সুখ অর্জনে বিশ্বাসী অপদার্থ।
মুসলিম হলো এমন এক জাতি যারা দাবি করে তাদের ধর্ম সবচাইতে শান্তির ধর্ম অথচ গণনা করলে দেখা যাবে পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট, চোর-বাটপার-লম্পট, অত্যাচারী, অমানবিক, দাঙ্গা-ফাসাদকারী, ভায়োলেন্সকারী কোনো ধর্ম যদি থেকে থাকে সেটা হলো মুসলিম ধর্ম। যারা মানুষ হত্যার মাধ্যমে নিজের নেকি কামানোতে বিশ্বাসী।

দেখা যায় তাদের সবচাইতে পবিত্র স্থান মসজিদ, যেটা তারা মনে-প্রাণে মানে সে স্থানও এরা ছাড়ে না! যেখানে সবাই মিলে নামায পড়ে অথচ সেখানেই তারা বোমা হামলা করে একে-অপরকে হত্যা করে। কিন্তু আসলে কেনো করে তারা নিজেও জানে না। জানবেও বা কি করে, জন্মের পর পরই পাঠিয়ে দিবে মাদ্রাসায়, যেখানে পড়াশোনার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয় কিভাবে বোমা বানানো যায়, মাইক এর আওয়াজ দিয়ে শব্দ দূষণ করে সাধারণ মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করা যায়, আর মানুষ হত্যা করে নেকি কামানো যায়। তাছাড়া মানুষকে জবাই করে, বোমা হামলা করে, গুলি করে, গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করার মধ্যে তারা খুঁজে পায় প্রকৃত সুখ এবং সেটার নাম দেয় জিহাদ। এটা কেমন শান্তির ধর্ম হলো?

অপর দিকে নারীদেরকে তো এরা মানুষ বলেও গণ্য করে না। এরা ঘরে থাকবে আর পুরুষদের অত্যাচার সহ্য করবে, ঘরের যাবতীয় সব কাজ করবে, ২৪ঘন্টা মাথায় কাপড় দিয়ে রাখতে হবে(সে যতই গরম হোক,শীত হোক), বাইরে গেলে আলখাল্লা নামক একটা ড্রেস আছে যাকে বলে বোরকা সেটা দিয়ে সমস্ত দেহ ঢেকে বের হতে হবে তা না হলে জাত যাবে, গুণা হবে। কোনো পুরুষদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না, নিজের স্বামী ব্যতীত কারও দিকে তাকানো যাবে না। আর শিক্ষা, সে তো অমাবস্যার চাঁদ মুসলিম মেয়েদের জন্য। অথচ এঁরাই কিন্তু ঘরের মহিলা কারো অসুখ হলে ডাক্তার এর কাছে গিয়ে মহিলা ডাক্তার খুঁজে। কিন্তু মেক্সিমাম গার্জিয়ানরা কখনো মেয়েদেরকে জিজ্ঞাসা করে না, তাদের মন কি বলে, এরা কি করতে চায়, এদের জীবনের লক্ষ্য কি, তাদের শখগুলো কী কী! আবার পুরুষেরা তিনটি-চারটি বিয়ে করতে পারবে আর পুরুষেরাই তালাক দিতে পারবে ইচ্ছে হলেই, তো এবার বুঝে নেন এদের মেন্টালিটি কতটা পূয়োর।

এক কথায় বলা যায় তাদের নবী যতো আকাম-কুকাম, অসৎ কাজ করে গেছেন কুরআনের রুলগুলোও সেভাবে বানিয়ে গেছেন নিজের সুবিধা অনুযায়ী। আর অশিক্ষিত বর্বররা অন্ধের মতো সেটা আজও অনুসরণ করে চলছে, অথচ এরা নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে না, এই নন সেন্স আমরা অনুসরণ কেনো করিতেছি, এর সায়েন্টিফিক কোনো ডেফিনিশন আছে কি!
অন্যদিকে মোল্লাদের দেখা যায় প্রতিনিয়ত এরা এক রকম জোর খাটিয়ে, না হয় মৃত্যু ভয় দেখিয়ে অসহায়, দরিদ্র ও সল্পশিক্ষিত ভিন্নধর্মাবলম্বীদের মুসলিম ধর্মে রূপান্তরিত করতে ব্যস্ত, নেকি হাসিল এর দোহাই দিয়ে। এই সব কিছুর জন্য যদি আপনি প্রতিবাদ করতে যান বাংলাদেশে, তাহলেই আপনি খেতে হবেন হয় চাপাতির কোব নয় তো মৃত্যু থ্রেড। আসলে খেতে হবে বললে ভুল হবে, অলরেডি বাংলাদেশে মাইনোরেটিদের ওপর অবিরাম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে এরা, অথচ বাংলাদেশ সরকার তা দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না। তখন না হয় তাদের কোনো সাজা, না হয় কোনো জরিমানা। বরং এরা আরো বড় গলায় ওয়াজ মাহফিলে বসে অপেনলি থ্রেড দিয়ে থাকে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের আর সাধারণ মানুষদের, শুধু তাই নয় খারাপ ভাষায় গালা গালিও করে। এরই নাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, এগুলোই হলো মুসলিম ধর্মের ডেফিনিশন।

No comments