নারী বিদ্বেষী মনোভাব ও আজকের বাংলাদেশ
ভেবেছিলাম বাংলাদেশ বিগত দশকে মানবতাবাদীতে ভেসে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া জগতে যেভাবে মুক্তমনা, নাস্তিক, যুক্তিবাদী, নারীবাদী, সমাজবাদী, কিংবা মানবতাবাদী দাবিকারী মহামানবদের ভীড়, তাতে না ভেবে উপায়-ই বা কি?কিন্তু চট্টগ্রামে স্ত্রীর পরকীয়াকে কেন্দ্র করে ডাক্তার আকাশের আত্মহত্যার পর সোশ্যাল মিডিয়া জগতে ক'দিন ধরে যে বিশাল আলোড়ন-বিক্ষোভ উঠেছে,তার গতিবিধি দেখে হতভম্ব হচ্ছি। যেই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এমন এক ধর্মের অনুসারী, যেখানে একই পুরুষের চার স্ত্রী রাখার অধিকার আল্লাহর পবিত্র বাণী দ্বারা বৈধ; যেখানে আমার দেখায় কম করে হলেও ৩০ শতাংশ পুরুষ দাম্পত্য বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করে অন্য নারীর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়, বেশ্যা পল্লীতে যায়; এবং তাদের স্ত্রীদের বেশীরভাগ জেনেশুনেও তা মাথায় নিয়েই সংসার করতে বাধ্য, সেখানে মিতুর এ অপ্রত্যাশিত আচরণ নিয়ে সেই পুরুষকূলেরই এমন তোলপাড়, বিক্ষোভ পুরুষকূলের চিরাচরিত নারী বিদ্বেষী মনোভাবের-ই প্রকাশ মাত্র। তবে মুক্তমনা, নারীবাদী, সমাজবাদী, মানবতাবাদী দাবিকারীদের সিঙ্ঘভাগও যখন সে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দেয়, বলা যায়, নেতৃত্ব দেয়, তখন একে নারী-বিদ্বেষী পৌরুষেয় সমাজ ভাবনার "ভয়াল রূপ" না বলে পারা যায় না।
পুরুষদের মাঝে দাম্পত্য অবিশ্বস্ততা যখন এতটাই স্বাভাবিক, তখন নারীদের মাঝেও তা কম-বেশী ঘটা স্বাভাবিকই বলতে হবে। যখন তা ঘটে, বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাই সঠিক পথ। মিতুর অবাঞ্ছিত কর্মের দায়দায়িত্ব মিতুর নিজের। সে লজ্জায় আকাশের আত্মহত্যা যুক্তিহীন, এবং আকাশের আত্মহত্যার দায়দায়িত্ব তার নিজের; তা মিতুর ঘাড়ে চাপানো অন্যায়।
পুরুষদের মাঝে দাম্পত্য অবিশ্বস্ততা যখন এতটাই স্বাভাবিক, তখন নারীদের মাঝেও তা কম-বেশী ঘটা স্বাভাবিকই বলতে হবে। যখন তা ঘটে, বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাই সঠিক পথ। মিতুর অবাঞ্ছিত কর্মের দায়দায়িত্ব মিতুর নিজের। সে লজ্জায় আকাশের আত্মহত্যা যুক্তিহীন, এবং আকাশের আত্মহত্যার দায়দায়িত্ব তার নিজের; তা মিতুর ঘাড়ে চাপানো অন্যায়।
No comments