Header Ads

সর্বশেষ

বুড়ো বয়সে হঠাৎ করেই এনার গবেষণা ফাঁস হয়ে গিয়েছে!

 


হে সম্মানিত দ্বীনি ভাই/বোনেরা, আপনাদের জন্য একটি সুখবর!

মুফতি মাওলানা কাজী ইব্রাহীমের পর আপনদের ইসলামিক ঘরনার আর একজন নতুন বিজ্ঞানী আবিষ্কার হইছে, বলেন তাকবীর।

সে এক বিশাল কাহিনী, এত কিছু লিখতে বা বলতে পারবো না, তবে হালকা একটু বলি শোনেন,

এই বুড়ো বয়সে হঠাৎ করেই এনার নতুন এক গবেষণা ফাঁস হয়ে গিয়েছে!

এটা কেউ জানেনা, এমনকি তার বাসার লোকজনও না, হঠাৎ করেই ক্যামনে ক্যামনে জানি এই ঘটনাটা ঘইটা গেছে।

যাই হোক চলেন মূল কাহিনীতে আসি!

ওনার মুখে-ই শোনা কথা, সমুদ্র বিজ্ঞানীরা একটি গর্ত খুজে পেয়েছে, এইটার নাম দিয়েছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ, আর এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ দিয়ে তারা ১১ কিলোমিটার নিচে গিয়েছে, সেখানে গিয়ে তারা জমিনের একেবারে শেষ স্তরে পৌছাইছে এবং গিয়া দেখে তা গ্রানাইট পাথর এবং ইস্পাত লোহার ঢালাই করা মিশ্রিত স্তর, মানে ভয়াবহ একটা ব্যাপার স্যাপার আরকি।

এই পর্যন্ত শুনেও আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলাম, এরপর আর নিজেকে কোনভাবেই কন্ট্রোল করতে পারি নাই যখন শুনছি, ওইটার তাপমাত্রা 7000 ডিগ্রি ফারেনহাইট, এরপর তারা 7000 ডিগ্রি ফারেনহাইট উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাকি ভাবতে লাগছিল যে কি করা যায়।

তবে সে নিজেই একটি বিষয় আবার ক্লিয়ার করেছে যে 2200 ডিগ্রী তাপমাত্রায় লোহা গলে যায়, মাগার এই বিজ্ঞানীদের শরীরের একটা লোমও পুড়ে নি, বুঝতেছেন যে কি একটা রহমত?

যাই হোক, এরপর তারা 7000 ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার মধ্যে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করতে লাগলো, ছিদ্র করতে করতে দেখলো যে তার নিচ থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করলো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ আর্তনাদ, তারা চীৎকার করছে এই বলে যে জ্বলে গেলাম! পুড়ে গেলাম! বাচাও! বাচাও!

ওহ একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি, বিজ্ঞানীরা এর আগে নাকি ওই ছিদ্র দিয়া চার K রেজুলেশনের একটা ভিডিও ক্যামেরাও পাঠাইছিল, মানে ঘটনাটা দেখার জন্য আরকি।

বিশ্বাস করেন এতো ভয়ংকর এবং দুঃখের কথা শুনে আমি প্রায় ১৭ ঘন্টা বেহুশ ছিলাম, এরপর উঠতে বাধ্য হইছি কারণ আমার আবার সকালে অফিসে আছে, এরপর জ্ঞান ফেরার পর অফিস শেষ করে নিচের টুকু লিখেছি!

আমি তো ভাবছিলাম যে এত ভয় পাইছি, জীবনে বোধহয় আমার আর লেখা-ই হবে না, তবে লিখলাম এই কারণে যে, ইসলামিক ঘরনার নতুন এই বিজ্ঞানী‘র কথা শুনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারলাম, আর তা হল:

01: বিজ্ঞানীরা মরার আগেই জাহান্নামের ঘটনা গুলো বা আজাব এর এট এ গ্লান্স দেখে আসলো।

02: 7000 ডিগ্রী তাপমাত্রায়ও মানুষ মরে না, যদিও হার্ট অ্যাটাকে তিনজন বিজ্ঞানী স্পটেই ডেড হইছিল।

03: পৃথিবীতে এমনও কোন ড্রিল মেশিন আছে যা 7000 ডিগ্রি তাপমাত্রাও চালানো যায়, তাছাড়া মুভি ক্যামেরা আর যন্ত্রপাতিগুলো কোন ধাতুর তৈরী এইটা অবশ্য আমি বুঝি নাই।

04: হুজুরের কথায় একটি বিষয় পুরো পুরি পরিস্কার যে, এই জাহান্নামটায় যারা ছিল তারা সবাই বাঙ্গালি। বাঁচাও বাঁচাও, জ্বলে গেলাম, পুরে গেলাম এটি তারা বাংলা ভাষায়-ই বলেছে, শুনেছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা।

এখানে থাকা রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের আমার অন্তর থেকে একটা ধন্যবাদ এই কারণে যে তারা বাংলা ভাষা বুঝতে পেরেছে। না হলে তো না হলে তো একটা কেলেঙ্কারি লাইগা যাইতো রে ভাই।

অবশ্য আর একটা বিষয়ও উড়াইয়া দেওয়ার মতো না, এমনও তো হইতে পারে না যে, বাংলাদেশী, ভারতীয়, রাশিয়ান, পাকিস্তানিদের জন্য জাহান্নামেও আলাদা আলাদা জোন করে দিয়েছে, কারণ এগুলা তো যেখানে যায় সেখানেই ঝগড়া ছাড়া থাকতে পারে না।

আর রাশিয়ান যে বিজ্ঞানীরা এখানে গিয়েছিল তারা হয়তো বাঙ্গালী পাড়ায় ঢুইকা পরছে।

কোন এক কারণে আমি এই ভিডিওটি আমার প্রোফাইলে আপলোড করিনি, তবে নিচে লিংক দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেন।

No comments