মুহাম্মদের ইচ্ছেমত নারী ভোগের সুবিধা সম্বলিত আয়াত ডাউনলোড!
সম্পূর্ণ কোরান ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাযিল হয়েছিলো। একটিবার কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, কোরান নাযিল হতে ২৩ বছর লাগলো কেনো? আল্লাহ মানবজাতির জীবনবিধানটি একবারে একসাথে না পাঠিয়ে ২৩ বছর ধরে একটি দুটি করে আয়াত কেন নাযিল করলেন? উত্তর একটাই, কোরানের আয়াতগুলো নাযিল হয়েছিলো নবী মুহাম্মদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। প্রয়োজন অনুসারে একটি দুটি করে আয়াত আসতে থাকতো, এভাবেই ২৩ বছর কেটে যায় পুরো কোরানটা নাযিল হতে।
এ থেকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, কোরানটা মুহাম্মদের ব্যাক্তি জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। কোরান বাংলা অর্থসহ পড়লেই বুঝবেন সেখানে মুহাম্মদের পার্সোনাল লাইফটা কিভাবে এসেছে বার বার। কোরান যদি সকল যুগের সকল মানুষের জীবনবিধান হিসেবে রচিত হবে, তাহলে সেটা মুহাম্মদের ব্যাক্তিজীবনের সাথে সম্পৃক্ত হবে কেন? কোন একটা একক ব্যাক্তি কি করে সকল যুগের সকল মানুষের আদর্শ হয়? স্থান-কাল-পাত্র ভেদে মানুষের করণীয় ভিন্ন ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
যখন কোন মুমিনকে বলি, কোরানে দাসীর সাথে সেক্স করাকে হালাল ঘোষনা করা হয়েছে, এর উত্তরে মুমিন বলে, ঐটা ছিলো ১৪০০ বছর আগের যুগের পরিপ্রেক্ষিতে, বর্তমানে তো দাসী নেই… হ্যাঁ, আমিও তো তাই বলি। বর্তমানে তো দাসপ্রথা নেই, তাহলে কোরানের দাসপ্রথা সম্পর্কিত আয়াত কি করে সকল যুগের মানুষের জন্যে বিধান বলে ধরে নিবো? শুধু দাসপ্রথাই নয়, কোরানের আনেক অনেক আয়াত আছে যেগুলো বর্তমানে আর প্রযোজ্য হবে না, এসব শুধুমাত্র মুহাম্মদের সময়কালে তার এলাকার জন্যেই ভালো খাটে। বর্তমানে নয়।
কোন নির্দিষ্ট একটা দেশের সংবিধান দিয়ে আপনি পুরো বিশ্ব চালাতে পারবেন না। কিংবা, বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংবিধান আছে, তা দিয়ে ২০০ বছর পরের বাংলাদেশ চালানো যাবে না। কেউ যদি এমনটা দাবি করে, তাহলে সে মিথ্যা বলছে এবং তার উদ্দেশ্য সৎ নয়।
নবী মুহাম্মদ তার স্বার্থসিদ্ধির জন্যে কুরানে বিভিন্ন আয়াত নাযিল করতেন। তার যখন যা প্রয়োজন হতো, সে বিষয়েই তাৎক্ষণিক কুরানে আয়াত নাযিল হয়ে যেতো… আল্লাহর নাম ভাঙিয়ে মুহাম্মদ এভাবেই তার স্বার্থ উদ্ধার করতেন। আর সবাইকে বলতেন যে, এই দেখো আয়াত… এটা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আদেশ, আমি শুধু তার আদেশই পালন করছি। তো, লোকজন আর কি বলবে! আল্লাহর আদেশ বলে কথা! মুহাম্মদকে তা মানতেই হবে। এভাবেই চালাক মুহাম্মদ কুরানের আয়াত দেখিয়ে লোকজনকে বোকা বানাতেন।
এ ব্যপারটা মুহাম্মদের বিবি আয়েশা ঠিকই অনুমান করতে পেরেছিলেন।
মুহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে আয়েশা বলেন,
Bukhari, Vol. 6, Book 60, Hadith 311 | বাংলা ভার্শন
… আমি দেখছি যে, আপনি যা ইচ্ছা করেন, আপনার রব তা-ই শীঘ্র পূর্ণ করে দেন।
হ্যাঁ, শুধু আয়েশা নন, আমরাও একটু মনোযোগ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলেই মুহাম্মদের এই চালাকি ধরতে পারবো। তো, চলুন বন্ধুরা, আজকে আমরা কুরান থেকে এমন কিছু আয়াত দেখবো, যেগুলো মুহাম্মদ বিভিন্ন সময়ে নিজ স্বার্থে নাযিল করেছিলেন। এগুলো বিশ্ব মানবতার কোন কাজে নয়, বরং মুহাম্মদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যেই নাযিল করিয়েছিলেন পেয়ারা নবী মুহাম্মদ। পুরো কোরানটাই মুহাম্মদ তার প্রয়োজনে ডাউনলোড করেছেন। সব আয়াত নিয়ে ত আলোচনা করা সম্ভব নয়, তবে আজ কয়েকটি আয়াতের উদাহরণ দিয়ে আপনাদের কাছে মুহাম্মদের বাটপারিটা তুলে ধরতে চেষ্টা করবো।
কোরানে পরস্পরবিরোধী আয়াত নিয়ে বেকায়দায় মুহাম্মদঃ
কোরান সৃষ্টিকর্তার বাণী হলে তাতে পরস্পরবিরোধী কোন আয়াত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু এটি মানুষের রচিত বলেই এতে অনেক অনেক পরস্পরবিরোধী আয়াত দেখতে পাই। সেসব পরস্পরবিরোধী আয়াতগুলো নিয়ে লিখবো অন্য একদিন, আজকে জানবো কি করে মুহাম্মদ এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন?
মাঝে মধ্যেই মুহাম্মদ এমন কিছু আয়াত পয়দা করে ফেলতেন, যা অতীতে নাযিলকৃত আয়াতের বিরোধী। এরুপ পরস্পরবিরোধী আয়াত আনয়ন করে ফেললে খুবই বিপদে পড়তে হতো মুহাম্মদকে। এমনকি, অনেকেই মুহাম্মদকে বলেছে যে, মুহাম্মদ নিজের মনগড়া কথাবার্তা নিয়ে আসে ও সৃষ্টিকর্তার নামে চালিয়ে দেয়। হুম… এমন হলে তো বড়ই বিপদ! কি করা যায়… কি করা যায়… সমস্যা নেই, মুহাম্মদের বিপদে আল্লাহ তো আছেই। মুহাম্মদ আল্লাহকে ফোন করে দিলো আর অমনি এর সমাধান দিয়ে কিছু আয়াত নাযিল হয়ে গেলো!
Quran 16:101
এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।
Quran 2:106
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
আল্লাহ বলেন, কুরান নাযিলের আগেই তা লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ। তাছাড়া, কখন কি নাযিল করবেন তা তো সবজান্তা আল্লাহ আগেই থেকেই জানবেন। তিনি কেনো প্রথমে এক রকম আয়াত নাযিল করে পরবর্তীতে উক্ত আয়াতের স্থলে এর থেকে উত্তম আয়াত নাযিল করবেন? তাহলে, প্রথমে বাতিল বা অধম আয়াতটি নাযিল কেনো করা হয়েছিলো? আল্লাহ নিজেও কি ভুল করেন এবং পরে তা সংশোধন করেন? চিন্তার বিষয়। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, কুরান সবজান্তা সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়। মুহাম্মদের চালাকি যেনো কেউ ধরতে না পারে, সেজন্যে পরস্পরবিরোধী আয়াত নাযিল করে ফেললে তাদের মধ্য থেকে যেকোন একটি আয়াতকে উত্তম বলে চালিয়ে দেয়ার জন্যে উপরোক্ত আয়াতদ্বয় পয়দা করেন চালাক নবী।
ইচ্ছেমত নারী ভোগের সুবিধা সম্বলিত আয়াত নাযিলঃ
পেয়ারা নবী মুহাম্মদকে নারী সম্ভোগের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। কোন মুমিন নারী নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করলেই সে নারী নবীর জন্যে হালাল! নবীর মন চাইলেই তাদের বিয়ে করতে পারবে। আর এই সুবিধা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদের, অন্য কোন মুমিনের জন্যে এই নিয়ম নয়, অন্য মুমিনরা ৪ টার অধিক বিয়ে করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! আর, দাসীদের সাথে সেক্স করাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। নবীকে সেক্স করার এই স্পেশাল সুযোগ দেয়া হইছে তার অসুবিধা দুরীকরনের উদ্দেশ্য! ঐসব মুমিন নারী আর দাসীদের সাথে সেক্স না করলে নবীর কি এমন অসুবিধা হয় তা আমাদের জানাবেন কারও জানা থাকলে। জেনে কৃতার্থ হবো। চলুন, আয়াতটি দেখে আসি।
Quran 33:50
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য–অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
এই আয়াত নাযিলের পর নবীর স্ত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। যেসব নারী নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করতে চাইতো, আয়েশা তাদের একদমই সহ্য করতে পারতেন না। তাছাড়া, স্ত্রীদের মাঝে সময় ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। কোন স্ত্রীই তার ভাগে বরাদ্দ রাতটি অন্য কাউকে দিতে চাইতো না। এমনিভাবে চললে তো উপরোক্ত আয়াত থেকে সুবিধা আদায় করা যাবে না। তাই, নবী স্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে নতুন আয়াত পয়দা করলেন, যাতে বলা হলো নবী যাকে ইচ্ছে দূরে রাখবেন, যাকে ইচ্ছে কাছে টানবেন। নবীকে পুর্ন স্বাধীনতা দিয়ে দিলো তার আল্লাহ।
Quran 33:51
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে।
এসব আমার মনগড়া কথাবার্তা নয়। নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন।
Bukhari, Vol. 6, Book 60, Hadith 311 | বাংলা ভার্শন
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেসব মহিলা নিজেকে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হেবাস্বরূপ ন্যস্ত করে দেন, তাদের আমি ঘৃণা করতাম। আমি(মনে মনে) বলতাম, মহিলারা কি নিজেকে ন্যস্ত করতে পারে? এরপর যখন আল্লাহ্ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘‘আপনি তাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট হতে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন। আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই।’’
তখন আমি বললাম, আমি দেখছি যে, আপনি যা ইচ্ছা করেন আপনার রব, তা-ই শীঘ্র পূর্ণ করে দেন। [৫১১৩; মুসলিম ১৭/১৪, হাঃ ১৪৬৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪২৫)
মানবজাতির জন্যে অতি গুরুত্বপুর্ন একটি আয়াতঃ
Quran 33:53
হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।
উপরোক্ত আয়াতটি ভালো করে পড়ুন। এই আয়াতটি মানবজাতির কি কাজে লাগবে বলেন তো? একান্তই ব্যাক্তিগত কারনে মুহাম্মদ আয়াতটি পয়দা করলেন কুরানে। নিজ বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি মেহমান তাড়াতে। কেননা, মুহাম্মদ সংকোচ বোধ করতেন, তাই এটা আল্লাহকে দিয়ে বলাইলেন। কোরানে এমন ফালতু আয়াত থাকলেও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের উল্লেখ নেই, যা আমি অন্য একটা লেখায় আলোচনা করেছিলাম সংক্ষেপে। সেই লেখাটি পাবেন এখানে।
গনিমতের মাল ভোগদখল করতে আয়াত নাযিলঃ
মুসলিম বাহিনী অমুসলিমদের আক্রমনের মাধ্যমে পরাজিত করে তাদের সকল মালামাল দখল করে নিতো। এই মালামালই ছিলো গণিমতের মাল। একবার, এক সাহাবী যুদ্ধলব্ধ সামগ্রী (গণীমত) থেকে একটা তলোয়ার খুজে পায় এবং সে এটি নিতে চায়। লোকটি তলোয়ারটি মুহাম্মদের কাছে নিয়ে যায় এবং তাকে সেটি দিয়ে দিতে বলে। মুহাম্মদ লোকটিকে বলে তলোয়ারটি যেখানে পেয়েছে সেখানেই রেখে আসতে। লোকটি জিজ্ঞাসা করে, আমি কি তাহলে কিছুই পাবো না? আমার ভাগ কই? আমাকে এটি দেয়া উচিত। এই ঘটনার পরপরই মুহাম্মদ সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে কুরানে আনলেন নতুন আয়াত। আয়াতের মাধ্যমে ঘোষনা দিলেন গনীমতের মাল হলো আল্লাহ এবং রাসূলের।
Quran 8:1
আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক।
উপরোক্ত ঘটনার বর্ণনা পাবেন এই হাদিসে,
Sahih Muslim, Book 19, Hadith 4329
গণিমতের মাল তো সবাইকেই দিতে হবে। ওসব মাল না পেলে সৈন্যরা যুদ্ধ করবেই বা কেনো। তবে, সব মুসলিম সমান ভাগ পাবে, তা তো হতে পারে না। নবী মুহাম্মদের চাই বেশি। শুধু বেশিই নয়, পুরো গণিমতের মালের ৫ ভাগের ১ ভাগ তার চাই। সমস্যা কি। কথাটা আল্লাহকে দিয়ে বলালেই ভালো হয়। সো, কুরানে এ প্রসঙ্গেও আয়াত এলো, বলা হলো, মুহাম্মদকে বেশি দাও… ওহ হ্যা… মুহাম্মদ যে বেশি নিচ্ছে, এতে কিন্তু মুহাম্মদের দোষ নেই, এটা আল্লাহর হুকুম।
Quran 8:41
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু–সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়–স্বজনের জন্য এবং এতীম–অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।
উপরোক্ত আয়াতটি লক্ষ্য করুন। আল্লাহর জন্যেও গনীমতের মাল? আল্লাহ নিজেও কি গণীমনের মাল নেয়? কিভাবে? তার কাছে কিভাবে পাঠানো হয়? আল্লাহর কাছে পাঠানোর সিস্টেম যেহেতু কারও জানা নেই, তাই সে দায়িত্ব মুহাম্মদকেই দিয়ে দেয়া হোক, সেই পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। আর, মুহাম্মদের আত্মীয়ের ভাগও তার কাছেই যাবে। এতীম অসহায়দের অংশটুকুও মুহাম্মদের কাছেই থাকুক আপাতত। হেহে… মুহাম্মদের চালাকি দেখুন… আল্লাহ, তার আত্মীয়, এতিম, মুসাফির (মুসাফির কি প্রতিদিনই এসে বসে থাকতো?) এদের নাম লিখে লিস্ট বড় করে পুরো গণিমনের মালের ২০ শতাংশ হাতিয়ে নিয়েছেন মুহাম্মদ। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করুন, অন্য কোন মুমিনের আত্মীয়ের জন্যে কিছু বরাদ্দ দেয়া হলো না, কিন্তু মুহাম্মদের আত্মীয়ের কথা বলে স্পেশাল ভাগ নিতেন মুহাম্মদ!
পুত্রবধু জয়নবকে বিয়ে করা হালাল করতে আয়াত নাযিলঃ
জয়নব ছিল মুহাম্মদের ফুফাতো বোন। মুহাম্মদ তার ফুফাতো বোনকে নিজ পালক পুত্রের সাথে বিয়ে দেন জোরপূর্বক। জয়নব ও তার ভাই এই বিয়েতে রাজি ছিলো না। কিন্তু মুহাম্মদ কোরানে নিম্নোক্ত আয়াত ডাউনলোড করে ভয় দেখিয়ে জয়নব ও তার ভাইকে রাজি করায় বিয়েতে। আপনারা বিস্তারিত জানতে আয়াতটির তাফসীর ঘেটে দেখে নিতে পারেন।
Quran 33:36
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।
এভাবেই ফুফাতো বোন হয়ে গেলো তার পুত্রবধু! এর অনেক দিন পর… একসময় মুহাম্মদের নজর পড়ে জয়নবের উপর। জয়নব ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তার স্বামী জায়েদকে জানায়। জায়েদ ভালো করেই জানতো যে, মুহাম্মদ যা চায় তা আদায় করেই ছাড়ে। জায়েদ ভয় পেয়ে যায়। সে খোলাখুলি পালক–পিতাকে বললো, “আপনি হয়ত জয়নবকে পছন্দ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য আমি তাকে ত্যাগ করছি।”এ কথা শুনে মুহাম্মদ উত্তর দিলেন, “তুমি তোমার স্ত্রীকে রাখতে পারো।” (অবশ্য জোড়াজুরি করলে আমি নেবো)… কিন্তু জায়েদ জানতো যে নবী তার বাসনা চরিতার্থ করবেই। তাই সে শেষ পর্যন্ত জয়নবকে তালাক দেয়। কিন্তু জায়েদ তালাক দিলে কি হবে, বাধা তো আরেক জায়গায়। জায়েদ যে মুহাম্মদের পালিত পুত্র আর মুহাম্মদ কি করে পালিত পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করবে? তখন আরবে পালিত পুত্রদের নিজ পুত্রের মতই দেখা হতো। সুতরাং মুহাম্মদ বুদ্ধি করে একটা আয়াত পয়দা করে দিলেন কুরানে, এই বলে যে, পালিত পুত্র কোন পুত্রই নয়।
Quran 33:4
…তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র।…
ব্যাপারটা একবার ভালো করে চিন্তা করেন। দেখুন আল্লাহ নামধারী মুহাম্মদ কত অমানবিক। জয়নবের সাথে বিয়ে হালাল করতে পালক পুত্রদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো এই আয়াতের মাধ্যমে। এটা কতটুকু মানবিক? পালক কারা আসে? যারা অসহায়, যাদের মাতা পিতা নাই কিংবা থাকলেও তাদের ভরন পোষন করেন না কিংবা করতে পারেন না। এমন অসহায় শিশুরাই তো পালক আসে নাকি? শুধুমাত্র নবির কু স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে তিনি সকল পালক সন্তানদের বঞ্চিত করলেন। কুরান যদি সত্যিই সৃষ্টিকর্তার বাণী হতো, তাহলে বলা উচিত ছিলে যে, হে মানবজাতি, তোমরা পালক সন্তানদের নিজ সন্তানদের মত দেখবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করবে। তাই কি উচিত ছিল না?
যাহোক, পোষ্যপুত্রকে কোরানের আয়াতের মাধ্যমে বোল্ড আউট করে দিয়ে মুহাম্মদ জয়নবকে বিয়ে করলেন। কিন্তু এ বিয়ে নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছিল, অনেকেই মুহাম্মদকে নিন্দা করতে শুরু করে। মুহাম্মদ তাই ব্যপারটা নিজের উপর না রেখে আল্লাহর উপর দিয়ে চালিয়ে দিতে চাইলেন। যদি এমন একটা ঘোষনা দেয়া যায় যে, নবী আল্লাহর ইচ্ছেতেই পুত্রবধুকে বিয়ে করেছেন, তাহলেই লোকমুখ বন্ধ করা যাবে। যে ইচ্ছে সেই কাজ। তাৎক্ষনিক কুরানে এলো নতুন আয়াত।
Quran 33:37
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।
উপরোক্ত আয়াতটি লক্ষ্য করুন। জায়েদ যখন জয়নবকে তালাক দিতে চাইছিলো এবং মুহাম্মদ তাকে বলেছিলো তুমি তোমার স্ত্রীকে রাখো, সে সময় মুহাম্মদ মনে মনে এমন বিষয় গোপন করেছিলো যাতে কিনা লোকনিন্দার ভয় আছে! তার মানে কি দাড়ালো? মুহাম্মদ মনে মনে জয়নবকে বিয়ে করতেই চাইছিলো… তাই নয় কি? তা না হলে লোকনিন্দার কথা আসবে কেন? আর, এর পরপরই আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ নিজেই মুহাম্মদের সাথে জয়নবের বিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং মুহাম্মদের কোনই দোষ নাই। আল্লাহর ইচ্ছেতেই যা হওয়ার হয়েছে। আল্লাহ এটা করেছেন যেনো সব শশুর তার পালিত পুত্রের বউদের বিয়ে করতে পারে… মুহাম্মদকে দিয়ে প্রাকটিক্যাল করিয়ে শুভ উদ্ভোদন করা হলো। যাহোক, পুরো ঘটনায় কিন্তু মুহাম্মদকে দোষ দিবেন না কেউ। যা হওয়ার ত্যানার ইচ্ছেতেই হয়েছে।
যুদ্ধবন্দীনি নারীদের ধর্ষনের পথ সুগম করতে আয়াত নাযিলঃ
হুনাইনের যুদ্ধ চলছিলো। নবী মুহাম্মদ সে সময় যুদ্ধে অংশ নিতে আওতাস নামক স্থানে তার সৈন্যদল প্রেরন করলেন। সৈন্যরা গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিলো, পারদর্শিতা প্রদর্শন করে যুদ্ধে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জয়ী হলো। আলহামদুলিল্লাহ। তারপর শুরু হলো আসল কার্যক্রম। বন্দী করা হলো সকল অমুসলিম নারীদের। এদেরকে বলা হয় যুদ্ধবন্দীনি বা দক্ষিন হস্তের অধিকারভুক্ত নারী। এবার এই যুদ্ধবন্দীনি নারীদের ধর্ষন করার পালা। ধর্ষন!!! অবাক হচ্ছেন? একটু বিবেক খাটান ভাই, যুদ্ধের পর বন্দী নারীগুলো তাদের ভাই স্বামী পিতার খুনি ও তাদের বন্দীকারী শত্রুপক্ষের পুরুষদের সাথে কি আনন্দের সাথে সেক্স করবে? নাকি ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে সেক্স করতে হবে? এটাতো কমনসেন্সের বিষয়…
যাহোক, এই ধর্ষন কার্যক্রমে কিছু সাহাবী অনিচ্ছা প্রকাশ করলেন। কারন, তাদের প্যাগান স্বামীরা তখনও বেচে ছিলেন। আর, ঐ নারীদের স্বামীরা বর্তমান থাকা অবস্থায় তাদের সাথে সেক্স করতে মন সায় দিচ্ছিলো না। বিধবা হলে কথা ছিলো, কিন্তু সধবা নারীদের এভাবে ধর্ষন মেনে নিতে আপত্তি ছিলো অনেক সাহাবির। কিন্তু এভাবে চললে কি হবে? সাহাবিরা যুদ্ধের পর ঠিকমত এনজয় করতে না পারলে তো পরের মিশনে তারা আগ্রহ পাবে না। কি করা যায় … কি করা যায়… মুহাম্মদ চিন্তায় পড়ে গেলেন… তবে, খুব শীঘ্রই সমাধান পেয়ে গেলেন। আল্লাহকে দিয়ে সধবা যুদ্ধবন্দীনিদের ধর্ষনটা হালাল করে নিলে কেমন হয়? যেই চিন্তা সেই কাজ। তাৎক্ষনাৎ কুরানে পয়দা হয়ে হয়ে গেলো আয়াত, আয়াতে বলা হলো যুদ্ধবন্দিনী নারীরা সধবা হলেও তাদের সাথে মজা নেয়া যাবে। চলুন, আয়াতটি দেখে নিই।
Quran 4:24
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়–এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম…
উক্ত আয়াতটি সুরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াত। এইটার আগের আয়াতে অর্থাৎ ২৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ কিছু নারীর একটা লিস্ট ঘোষনা করেছিলেন যাদেরকে বিয়ে করা যাবে না। অর্থাৎ ওসব নারী বিয়ের জন্যে নিষিদ্ধ। তো, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ নাম্বার আয়াতে এসে বললেন যে, সকল সধবা নারী বিয়ের জন্যে নিষিদ্ধ। তবে… তবে, দক্ষিন হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় তাদের ছাড়া। যুদ্ধবন্দীনি নারীরা সধবা হলেও অর্থাৎ যুদ্ধবন্দীনিদের স্বামী বেঁচে থাকলেও তাদের সাথে মজা নেয়া যাবে আরামসে। ব্যাস! উক্ত সাহাবীদের মনের উশখুশ ভাব দূর হয়ে গেল, তারা ফুরফুরা মেজাজে সধবা যুদ্ধবন্দীনিদের মজা লুটে নিলো।
No comments